আমাকে মারলে, এবার থেকে আমি ও খেলমু- সাক্কু

কুসিক নির্বাচন ২০২৪
রুবেল মজুমদার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুসিকের দুইবারের মেয়র, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন,আপনারা আমাকে মারবেন,আমি কি বসে থাকবো,আমি ও খেলমু
সোমবার (৪ মার্চ) বিকালে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ককটেল বিস্ফোরণ  ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনার পর পরেই মনিরুল হক সাক্কু রাত ১০ টায় নগরীর নানুদীঘির পাড় এলাকায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন,  আমি আজ (গতকাল) বিকালে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় আমার নির্বাচনী গণসংযোগ করলে দূর্বিত্তরা আমার উপর হামলা চালায় ও আমার প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে।  আমার কর্মীদের ও আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মারধোর করে। নির্বাচন দিয়েছে সরকার, আমরা যদি সেটা করতে না পারি তাহলে কিভাবে হবে।
কয়েকজন বোরকা পরিহিত ছেলে এসে আমার উঠান বৈঠকে এলোপাতাড়ি হামলা করে ও ভাংচুর করে। পাশাপাশি আমার  ককটেল বিষ্ফোরণ করে। পরে, স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়। তারা যতই করুক, আমাকে থামাতে পারবে না। তাদেরকে বলতে চাই, আপনারা যত ইচ্ছা মারেন। আমি খেলবো। আর, নির্বাচনে একজন স্থানীয় এমপি কিভাবে প্রচারণা করতে পারে।
সাক্কু অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে
রিটার্নিং কর্মকর্তামো: ফরহাদ হোসেন  বলেন,আমি এখনো লিখিত অভিযোগে পায়নি,অভিযোগ পেলে পাওয়া জনের ব্যবস্থা নিবো।
 গত শুক্রবার (১ মার্চ) নগরের ১৫ নং ওয়ার্ডের বালুধুমে উঠান বৈঠকের পূর্বে হামলা ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটে বলে অভিযোগ করেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসা চলাকালে তার মৃত্যু হয়। এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ময়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে। আগামী ৯ মার্চ ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এবার ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।