সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ।।
অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববার কুমিল্লার দেবিদ্বার ও দাউদকান্দিতে পুলিশসহ ২ জন নিহত হয়েছে।
দেবিদ্বারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে দেবিদ্বার। সংঘর্ষে মো. রুবেল (৩৪) নামের এক বাসচালক নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলা চত্বরে সংঘর্ষের সময় তিনি নিহত হন। রুবেল উপজেলার বারেক ওই এলাকার বাসিন্দা ও প্রান্তি বাসের চালক ছিলেন।
অপর দিকে, কুমিল্লার দাউদকান্দি ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল এরশাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি পূর্বাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ মোঃ খায়রুল আলম।
স্থানীয়রা জানান, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনের নামে দেবিদ্বার উপজেলার শিক্ষার্থীরা। এ সময় দেবিদ্বার পৌরসভা ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক দুর্বৃত্তের দায়ের কোপে আহত হন রুবেল। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেকটি দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ হাইয়ে ফাঁড়ির পুলিশ। ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালায় সেখানেই ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হসপিটালে চিকিৎসাধীন। পরে কনস্টেবল এরশাদ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। সংবাদসংগ্রহকালে কুমিল্লা উত্তর মোহনা টিভির প্রতিনিধি আহত হয়।
কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবিদ্বার সার্কেল) শাহ মোস্তফা মো. তারিকুজামান বলেন, দুষ্কৃতকারীরা উপজেলা পরিষদে হামলা চালায়। এ সময় তারা ইউএনও’র কার্যালয়সহ বেশকিছু স্থাপনায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে। একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তারা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এহসান আলী বলেন, সহিংসতায় আহত ১১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
কুমিল্লার ডিআইজি পূর্বাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ মোঃ খায়রুল আলম বলেন, বিক্ষুব্ধরা আমাদের হাইওয়ে ফাঁড়িটি ঘেরাও করে রাখে। তারা আমাদের একজন কনস্টেবলকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।