বাংলাদেশের লুন্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার,বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কুমিল্লা বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন।সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি (কুমিল্লা বিভাগ) আনোয়ারুল হক।
বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসীম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির সিদ্দিকী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াশিম সহ কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় কুমিল্লা বিভাগীয় যুবদলের প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন টুকু। টুকুর বক্তব্যের পর বক্তব্য শুরু করেন তারেক রহমান। এ সময় টাউনহলে প্রবেশ করেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি সানজুর মোর্শেদ,কান্দিরপাড় পুালিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তপন বাকসি। এ সময় পুলিশ গিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে বাঁধা প্রদান করে। তখন যুবদলের নেতৃবৃন্দ পুলিশের সামনে মানবঢাল সৃষ্টি করে স্কাইপিতে তারেক রহমানের বক্তব্য চালানোর চেষ্টা করে। এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরবর্তীতে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের হট্রগোলের মধ্যেই প্রায় তিন মিনিটের বক্তব্য শেষ করে তারেক রহমান। এর পর বক্তব্য দেয় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু।পরে সভাপতি আনোয়ারুল হকের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার মুহুর্তে টাউন হল গেইটে যুবদল ও ছাত্রদলের প্রায় ২০জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াশিম বলেন,আমরা আমাদের যথারিতি অনুষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আমাদের নেতা আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান যখন স্কাইপিতে বক্তব্য রাখছিলেন তখন পুলিশ এসে বাঁধা দেয়। কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য শেষ করান। অনুষ্ঠান শেষ হলে পুলিশের ধাওয়া করে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, তারেক রহমান যুক্ত হবেন এমন কথা ছিল না। তারা ইফতার মাহফিল করার কথা ছিল। তারেক রহমান যোগ দিলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়া ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।