ছোট ভাই মোঃ আকাশকে মালয়েশিয়ার বিমানে উঠিয়ে দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাই মোঃ হোসেনের। তার আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোঃ হোসেনসহ ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মতিউর রহমানের ছেলে।
মোঃ হোসেনের বড় ভাই মোঃ ফিরোজ বলেন, তার ছোট ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল ১৬ মে রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ভাইকে বিমানবন্দরে এগিয়ে দিয়ে আসার জন্য সাথে যান বড় ভাই মোঃ ফিরোজ, নিহত মোঃ হোসেন, তালতো ভাই মোঃ মুক্তার আহম্মেদ। ভাইয়ের বিমান ছাড়ার পরে রাত ২টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাসে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় শুক্রবার সকালে ৭টায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশ^বর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় মোঃ হোসেনসহ ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
নিহতরা অপররা হলেন; নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে নাছির উদ্দিন পলাশ(৪০) ও অপর ঢাকা নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির এমবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী চট্টগ্রামের বাশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে বদরুল হাসান রিয়াদ(২৬)। অপর ২ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রবিউল হাসান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন’।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের ডাবল ডেকার বাসটি সকাল ৭টায় মহাসড়কের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশ^বর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় ৫ ব্যক্তি নিহত ও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিহত ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়’। আবুল বাশার রানা চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা