কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের খালের ওপর সেতু নির্মাণকাজ আজও শেষ হয়নি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রায় ২৩ বছর ধরে সেতুটির নির্মাণকাজ বন্ধ বলে অভিযোগ রয়েছে।
সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নারান্দিয়া ও ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ছয় গ্রামের মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অর্ধনির্মিত সেতুর উভয়পাশে রাস্তা নির্মাণের দরপত্র হলেও কাজের মেয়াদ শেষ। এরপরও ঠিকাদার একাংশের কাজ শুরু না করায় রাস্তা নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, রায়পুর থেকে আসমানিয়া বাজার সড়কের স্লুইস গেট হয়ে নয়াচর হিরা লালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণকাজ হয়েছে। এরপর ৪ মাস ধরে এ অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে। পরের এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ শুরু করেনি ঠিকাদার। কোনো কাজ ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। খলিলাবাদ বারামবাড়ির কাছে খালের ওপর পুরাতন সেতুর চারটি পিলার রয়েছে। যাতায়াতের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ব্যক্তিগত নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। বারামবাড়ির অনেক শিক্ষার্থী নয়াচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে স্কুলে যেতে পারছে না তারা।
খলিলাবাদ গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হারুন-উর-রশিদ জানান, ২০০১ সালে বারামবাড়ি খালের ওপর সেতু নির্মাণের কাজ তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএন এন্টারপ্রাইজ বাস্তবায়ন করছিল। সে সময় জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলের পরিবর্তন হওয়ায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেয় সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। এরপর দীর্ঘ ২৩ বছর সেতুটি অর্ধনির্মিত অবস্থায় পড়ে আছে।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান খোকার ভাষ্য, স্লুইস গেট থেকে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ শিগগিরই শুরু হবে। বাকি এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ বর্ষার পানি আসায় করা সম্ভব হয়নি। তবে সেতু নির্মাণ জরুরি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মেসার্স সাজিদ ট্রেডার্সের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম অংশের দেড় কিলোমিটার রাস্তার ৭০ ভাগ কাজ শেষ। এই অংশ ও পরের এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।