বিয়ের কথা লোকজনকে জানিয়ে দেয়ায় জেঠিকে হত্যা করে তন্ময়

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ মাস আগে

জাহিদ হাসান।।

নিজের বিয়ের খবর লোকজনকে জানিয়ে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জেঠি আয়েশো বেগমকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করেছেন তন্ময় (২০) নামে এক যুবক। গত সোমবার (১৩ মে) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল মুহুরী বাড়িতে।

এ ঘটনায় তন্ময়কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আদালতে পাঠায় পুলিশ। জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

নিহত আয়েশা বেগম উপজেলার চড়ানল মুহুরী বাড়ির শামছুর দোহার স্ত্রী। গ্রেফতার হওয়া তন্ময় একই বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, আয়েশা বেগম ও তন্ময় সম্পর্কে জেঠি-ভাতিজা। তন্ময়ের মায়ের সঙ্গে আয়েশা বেগমর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রতিদিনই আয়েশা বেগম তন্ময়দের বাসায় গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। সেই সুবাদে দুই পরিবারের অভ্যন্তরীণ সব কথা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা হতো।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে তন্ময়ের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের এক মেয়ের পরিচয় হয়। পরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন।

পরবর্তীতে মেয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক পারিবারিকভাবে মেনে নেবে এমন আশ্বাস দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপরই ডিভোর্স লেটার পাঠায় তন্ময়ের বাড়িতে। এ ঘটনার তন্ময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

তন্ময়ের বিয়ের কথা তার পরিবার ছাড়া কেউ জানতো না। তবে আয়েশা বেগম বিয়ের ব্যাপার নিয়ে প্রতিদিনই তন্ময়কে নানা প্রশ্ন করত যাতে করে বিব্রত হয় তন্ময়। এক পর্যায়ে আয়েশা বেগমের মাধ্যমে বিয়ের বিষয়টি এলাকার মানুষ জেনে যায়। এ নিয়ে তন্ময়ের পরিবারকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।  আয়েশা বেগমের এমন কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে তন্ময় সিদ্ধান্ত নেয় কিছু একটা করার।

গত সোমবার সন্ধ্যায় তন্ময়ের মা আয়েশা বেগমকে ডেকে নিয়ে যায় কথা বলতে। কথা বলে বাসায় ফেরার সময় তন্ময় আয়েশা বেগমের সঙ্গে এসে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরান হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামায় মামলা করলে পুলিশ অভিযানে নামে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা তন্ময়কে আটক করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।’