মাদকের গোলা সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের গোলাবাড়ি !

একটি সরেজমিন প্রতিবেদন
শাহাজাদা এমরান
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

গোলাবাড়ি । কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ৫নং পাঁচথুবি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম। মাদকের গ্রাম হিসেবে যেই গ্রামটি সমধিক পরিচিত। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শত শত মোটরসাইকেল ,সাইকেল কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে জনপ্রতি ১০০ টাকা দিয়ে গোলাবাড়ি গ্রামে প্রবেশ করে যুবকরা। চতুর্দিকে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর বলয়ে থেকে নি:চিন্তে মাদক সেবন করে আবার নিরাপদে বীর দর্পে যার যার নীড়ে ফিরে যায়। এই গ্রামের শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ লোকই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে মাদকের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

আমাদের কাছে রিপোর্ট ছিল গোলাবাড়ি সীমান্তের চেক পোষ্টে জনপ্রতি ১০০ টাকা বিজিবিকে দিয়ে যুবকরা গ্রামে প্রবেশ করে। আবার মাদক সেবন করে চলে আসে। একশ টাকার এন্ট্রি ফি দিয়ে মাদকের গ্রাম গোলাবাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবাধে যেতে পারলেও প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই সময়ে সবচেয়ে বেশী যায়।

মাদক প্রবন এই গ্রামটি সরেজমিনে ঘুরে দেখার জন্য এবং রক্ষক কি সত্যিই সীমান্তে ভক্ষকের ভুমিকা পালন করে, না দেশ এবং জাতির অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তা জানার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে সংবাদপত্রের স্টীকার সম্বলিত ২টি মোটর সাইকেলে করে আমরা চারজন গণমাধ্যম কর্মী গোলাবাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। গোলাবাড়ি সীমান্তের চেক পোস্টে যেতেই কর্মরত বিজিবি সদস্য স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে একটু সামনে ঘুরে দেখব বললে আমাদের ছেড়ে দেয়। চেক পোস্ট থেকে একেবারেই সোজা কিছুক্ষণ যাওয়ার পর দেখি গোলাবাড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট লিখা পিলার । ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক জোড়া উঠতি বয়সের যুবককে দেখলাম জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পিলারের আশে পাশে। দুটো সাইকেল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ষষ্ট বা সপ্তম শ্রেণীতে পড়–য়া এক শিশুকে ইশারা দিয়ে জানতে চাইলাম, এরা কারা ? শিশুটি কোন রকম রাখ ঢাক না করেই বলে দিল,আপনারা যেমন খেতে এসেছেন ,তারাও এখানে খেতে এসেছে। বোকার মত আবার প্রশ্ন করলাম,ছোট ভাই,এখানে যারা আসে তারা সবাই কি খায় ? এবার নাম না বলা শিশুটি কিছুটা কৌশলের আশ্রয় নিল । নাম জিজ্ঞেস করার পরও নাম বলল না, কোন ক্লাসে পড় বললে উত্তর দেয় পঞ্চম শ্রেণী ।কিন্তু আমার মনে হলো শিশুটি ষষ্ট বা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে। আমার কথার জবাবে শিশুটি শুধু এতটুকু বলেই কেটে পড়ল, এই টাইমে এখানে যারা আসে সবাই খায়,আপনারাও খান। বিজিবি কিছু বলে না জানতে চাইলে শিশুটি হেঁটে যায় আর বলে ১০০ টাকা করে নেয় সবার থেকে।

শিশুটি চলে যাওয়ার পর আমরা জিরো পয়েন্ট থেকে হাতের বাম পাশের নিচ দিয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে সেই রাস্তাটি দিয়ে মাদকের স্বর্গ ভূমি হিসেবে খ্যাত গোলাবাড়ি গ্রামে প্রবেশ করি। গ্রামে ঢুকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন প্রান্তের যুবকদের ঢল দেখে বুঝতে পারলাম কেন গোলাবাড়িকে মাদকের অভয়ারণ্য এবং মাদক সেবনের নিরাপদ ভুমি বলা হয়। লক্ষ করলাম, মাদক সেবনকারী ও কতিপয় ভালো মানুষ(অনুমান নির্ভর) সবাই আমাদের মোটরসাইকেলের দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। মোটরসাইকেলের সামনে গণমাধ্যমের নাম দেখে মধ্যম বয়সের কেউ কেউ আবার বাকা চোখে অগ্মিশর্মা দৃষ্ঠিতেও তাকাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য ফেন্সিডিলের খালি বোতল পড়ে আছে। এরই মধ্যে আসরের আজান হয়ে গেল। আমাদের মোটরসাইকেল বহরও বাংলাদেশের সীমান্ত পিলারের (২০৮২/৭-৫/বি ডি) সামনে চলে এলাম। এখানে এসে পূর্ব পরিচিত একজনকে পেলাম। কথা বলার সময় লক্ষ করলাম সাথেই মসজিদ। মোয়াজ্জিন একামত দিচ্ছেন জামায়াতের। দ্রুত পুকুরে ওজু করে মসজিদে গেলাম। মসজিদের নাম এন সি নগর জামে মসজিদ। এই মসজিদটি যে ভারতীয় অংশ তখনও আমি জানতাম না। আমরা চার সাংবাদিকের মধ্যে দুই জন নামাজ পড়তে মসজিদে গেলাম। মসজিদে ইমাম সাহেবের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম,আমি যে মসজিদে নামাজ পড়লাম সেটা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনাইমুড়া এলাকা। ইমাম সাহেবের সাথে কয়েক মিনিট কথা বলে পিলারের সামনে ছবি তুলতে চাইলে আমার পূর্ব পরিচিতজন ছবি তুলতে নিষেধ করে বলল, এখানে বেশিক্ষণ থেকো না। চলে যাও, সমস্যা আছে। অনেকে ভুল বুঝবে। কারণ, তোমাকে তো আমি চিনি। তার কথা মত সহকর্মীদের বললাম, গাড়ি ছাড়। মোটরসাইকেলে উঠেছি,স্ট্যার্ট হলো, এমন সময় পেছন দিক (মসজিদের দিক থেকে) থেকে হৈ হৈ শদ্ধ এলো। আমরা নাকি ফেন্সিডিলের ছবি তুলেছি,ভিডিও করেছি। তখনো আমি জানতাম না,আমি মসজিদে থাকার সময় আমার এক সহকর্মী পরিত্যক্ত কয়েকটি ফেন্সিডিল বোতলের ছবি তুলেছে। মোটরসাইকেলের স্টার্ট অফ করে দাঁড়ালাম। চতুর্দিক থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা ঘিরে ধরলো। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ফেন্সিডিলের খালি বোতলের কেন ছবি উঠালাম অনুমতি ছাড়া প্রশ্নবানে জর্জরিত করে তুলল। বললাম,আপনারা অস্থির হইয়েন না। আচ্ছা দেখছি,ছবি তুললে ডিলেট করে দিচ্ছি। এমন সময় বাঁশি বাজাতে বাজাতে হন হন করে দুই জন বিজিবির সদস্য এলেন। নেম প্লেটে দেখলাম একজনের নাম আশরাফ। অন্য জনের নামটি দেখা হয়নি। এই দুই বিজিবির সদস্যের সাথে এলেন সবুজ নামের হ্যান্ডসাম কিছুটা লম্বা,পরিস্কার ঘরনার একজন। তিনি এসেই আমাকে তুই সম্বোধন করে দিলেন এক ধমক। বললেন, এক পা নরবি না। সোজ্ াহয়ে দাঁড়া। কেন এখানে আসলাম প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে চললেন। আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি বিজিবির গোয়েন্দা শাখার সদস্য । আমার নাম সবুজ। কুমিল্লা শহরে এসে জানলাম, তিনি মাদক ব্যবসায়ী এবং একাধিক মামলার আসামী।

বিজিবির দুই সদস্য দেখে আমার আত্মায় পানি এলো। মনে মনে ভাবলাম, এই তো আমাদের সীমান্ত পাহাড়াদার এসেছেন। আর কোন ভয় নেই। ওমা ! এটি ভাবতে ভাবতেই নেম প্লেট ছাড়া বিজিবি সদস্য কড়া সুরে ধমক দিয়ে বললেন, লজ¦া লাগে না। মালও খেয়ে যাবেন ,আবার ছবিও তুলবেন। এমন সময় কঠিন স্বরে স্বঘোষিত গোয়েন্দা সবুজ বিজিবির সদস্যদের নির্দেশ দিলেন তাদের ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন। বিজিবি সদস্য আশরাফ উত্তেজিত । তার চেয়েও বড় উত্তেজিত অপর সদস্য ক্যামেরা অন করে বললেন, আমি যা যা বলি, তা তা বলবেন। নইলে খবর আছে। এই বলে দিলেন এক ধমক। আমাকে বললেন, আমি যা যা বলি ভিডিওতে তা তা বলতে হবে। তিনি আমাকে নাম এবং পত্রিকার নাম জানতে চাইলে বললাম। এরপর বললেন, এখানে কেন এসেছেন,বললাম ঘুরতে। সবুজ আর ভিডিও করা বিজিবি সদস্য আরো জোরে ধমক দিয়ে বললেন, নাটক করলে ভালো হবে না। বলেন, মাল খাইতে আসছি। আমি বললাম, মসজিদ থেকে উনাদের সামনে (উপস্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের ) আসর নামাজ পড়ে বের হলাম। জীবনে একটা সিগারেটও খাই নাই। আর আপনি বলেন আমি বলতাম , আমি সীমান্তে আসছি ফেন্সি খাইতে,মাল খাইতে। এ সময় বিজিবি সদস্য আরো উত্তেজিত হয়ে বললেন, এই গ্রামে যারা আসে তারা সবাই খায়। সবুজ বলে, মাল খাওয়া ছাড়া কেউ এই খানে আসে না। আপনারাও মাল খাইছেন। আরো খান, লাগলে আমরা দিব কিন্তু ভিডিও করলেন কেন। বিজিবি সদস্য বললেন, উল্টা পাল্টা নিউজ করলে ছবি তুলে রেখেছি,জীবনে শিক্ষা দিয়ে দিমু। এরপর আমাদের সবার মোবাইল নিয়ে গেল। সহকর্মী মোস্তাফিজ বিজিবির হাতে মোবাইল দেওয়ার আগেই ছবি গুলো ডিলিট করল। কেন মোস্তাফিজ নিজে ডিলিট করল এজন্য বিজিবি সদস্য আশরাফ তাকে মারার জন্য উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে নাম না জানা বিজিবি সদস্য আমাকে বলল,এই মিয়া আপনি কত নম্বর সাংবাদিক। আপনি কি সাংবাদিক মশিউর ভাই আর পলাশ ভাইকে চিনেন। কতিথ গোয়েন্দা সবুজ বিজিবি সদস্যকে নির্দেশ দিয়ে বলল, সাংবাদিক মশিউরকে ফোন দিয়ে বলেন তাদের চিনে কিনা। বিজিবি সদস্য ও সবুজকে বললাম, আপনারা যাদের সাংবাদিক হিসেবে ফোন করছেন তাদের আমি চিনি না এবং চিনতেও চাই না। এ সময় এক মাদক ব্যবসায়ী বলতে লাগল,এই যে দেখছেন ধান ক্ষেত,এটা কিন্তু ভারতের । আপনাদের ধাক্কা দিয়ে যদি রাস্তা থেকে ধান ক্ষেতে ফেলে দেই তাহলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিএসএফ নিয়ে যাবে। তখন ঠেলা বুঝবেন।

যাই হোক , আমাদের ধমকিয়ে, ছবি ডিলেট করে, ভিজিটিং কার্ড রেখে আবার ফোন নম্বর রেখে , ফোন নম্বর ঠিক দিয়েছি কি না দাঁড়িয়ে থেকে তাদের নাম্বারে ফোন দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আমাদের প্রায় ৩০ মিনিটের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিলেন। বিদায় দেওয়ার সময় সবুজ ও বিজিবি সদস্যদ্বয় অনুরোধের স্বরে বললেন, আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে কিন্তু খবর আছে। ছবি তুলে রেখেছি। জীবনে শেষ করে দিমু। মাল দরকার হলে কিংবা অন্য যে কোন কিছু দরকার হলে বলবেন , ঠিকানা মত পাঠিয়ে দিব। আপনাদের অনেক সাংবাদিক আমাদের সাথে মিলি মিশে চলে আপনারাও চলবেন কোন সমস্যা হবে না।

গোলাবাড়ি গ্রাম থেকে এলাম গোলাবাড়ি চেক পোস্টে। লক্ষ করলাম, এখানেও আমাাদের জেরা করার জন্য এক বিজিবি সদস্য অপেক্ষায় রয়েছেন। লক্ষ করলাম তার প্যান্টটি বিজিবির ইউনিফর্ম হলেও গায়ের জামাটি সাধারণ পোষাকে। সিসি ক্যামেরার আওতায় যাতে না পরি সেইজন্য চৌকির একটু বাহিরে নিয়ে এসে জেরা করতে শুর করলেন। কেন সেখানে গেলাম। এক পর্যায়ে বলে উঠলেন, পাইছেন কি , খাইতেনও যাবেন আবার নিউজ করে আমাদের বিপদেও ফেলবেন। আমি বিনয়ের সাথে বললাম তার নাম এবং পদবি জানতে চাইলেও বলেননি। আমাদের শাসাতে লাগলেন। কেন তাদের অনুমতি না নিয়ে গ্রামের ভিতর গেলাম। এবার আমি গলার স্বর কিছুটা বড় করে বললাম, গোলাবাড়ি গ্রাম কি বাংলাদেশ সীমান্তের বাহিরে না-কি সেখানে যুদ্ধ লাগছে যে, অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না ? আর আমরাতো এ্ই চেক পোষ্ট দিয়ে আপনাদের বলেই গেলাম। আপনাদেরতো চাকুরিই সীমান্ত পাহাড়া দেওয়া আর মাদকসহ অবৈধ মাল যাতে না আসে সেটা দেখা। আপনারাতো বলেন, মাদককে নির্মূল করবেন। আজ দেখলাম, মাদকের ছবি উঠানোর কারণে উল্টো আমাদের ছবি তুলে ভিডিও করে বলছেন, নিউজ করলে খবর আছে ?

এমন সময় এলেন ক্যাম্প ইনচার্জ সাহাজ উদ্দিন সাহেব। কিছু দিন আগে তার সাথে হালকা পরিচয় হয়েছিল। তিনি এসে বললেন, ভাই আপনারা গ্রাম ঘুরতে যাবেন আমাকে বললে আমি ফোর্স দিয়ে দিতাম। জানেন তো সীমান্তে একা যাওয়া ঠিক না। আমি বললাম, গ্রামের মানুষ জানিয়েছে, আপনারা জনপ্রতি ১০০ টাকার বিনিময়ে মাদক খাওয়ার জন্য গ্রামে ডুকতে দেন। সরকার আপনাদের পাঠিয়েছে, মাদককে নির্মুল করার জন্য। গ্রামে আপনার বিজিবি সদস্য আমরা কেন ফেন্সিডিলের বোতলের ছবি উঠালাম,সেই জন্য অপমান করে ছবি ডিলিট করে উল্টো আমাদের ছবি উঠিয়ে রেখেছে যদি নিউজ করি তাহলে আমাদের শায়েস্তা করবে। আপনারা কেন সীমান্তে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকা নেন। আপনার দুই বিজিবি সদস্য কেন আজ আমাদের পক্ষ না নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিল। অত্যান্ত ভদ্র লোক মনে হলো আমার সাহাজ উদ্দিন সাহেবকে। তিনি বিনয়ের সাথে বললেন, ভাই, নিউজ করে আমাদের পেটে লাথ্থি দিয়েন না। আপনাদের সাথে যেই সিপাহী খারাপ ব্যবহার করছে আমি তা দেখব। আর যে কোন প্রয়োজনে আসবেন । চেক পোষ্ট ছাড়ার আগে সাহাজ সাহেবকে বললাম, যদি কখনো মাদক খাই তাহলে আপনাদের সাহায্য নেব এবং বলব। তবে আপনারা যে রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকা নিচ্ছেন আমি তা গোটা বাংলাদেশকে জানিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।

আমার সহকর্মীরা বলল, ভাই, যদি লিখেন তারা যদি আপনার ক্ষতি করে । বললাম, আমি বিশ^াস করি, ১০ বিজিবির অধিনায়কসহ উপরের অফিসাররা এ বিষয় গুলো জানে না। তাদের নিচে কি হচ্ছে। আমার এই কলামের মাধ্যমে আমি বিজিবির উপরওয়ালাদের সজাগ করে দিয়ে বলতে চাই,নিরবে সীমান্তে আসুন এবং দেখুন,আপনার কতিপয় সদস্যরা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিরাপদ থাকার পাহারা দেয়। এই মাদকের পাহারাদার কতিপয় বিজিবির সদস্যদের দায় নিশ্চয়ই গোটা বিজিবি বহন করবে না । তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। একই সাথে ব্যবস্থা নিন, বিজিবির গোয়েন্দা পরিচয়দানকারী মাদক ব্যবসায়ী সবুজ ও সাংবাদিক নামধারী মোখলেছুর রহমান ও পলাশের বিরুদ্ধেও। দেশের আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিকল্প নেই এবং এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে বিজিবিকেই। আমরাও বিজিবির মাদক বিরোধী আন্দোলনের সারথী হতে চাই। একই সাথে নিরাপত্তাও চাই,যেন এই প্রতিবেদনের পর যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার মুখাপেক্ষি না হতে হয়। পাঠককে স্বাক্ষী রেখেই সরেজমিন প্রতিবেদনটি শেষ করলাম।

লেখক : ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ,দৈনিক আমাদের কুমিল্লা ও সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি,কুমিল্লা জেলা শাখা।