‘বাউল শিল্পীর সাথে আড্ডা ও গান’ বিষয়ক টক শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা আল নূর হসপিটালের সৌজন্যে দৈনিক আমাদের কুমিল্লা ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কুমিল্লার জমিনের যৌথ উদ্যোগে ১৪৮ তম পর্বের এ টক শো অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক, সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক শাহাজাদা এমরানের সঞ্চালনায় টকশো তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাউল শিল্পী হাসান দেওয়ান।
বাউল গান দিয়ে শুরু হয়ে টক শো তে এ সময় শিল্পী হাসান দেওয়ানের গানের জগতে আসার পেছনের গল্পসহ বিভিন্ন আলোচনা উঠে এসেছে। পাশাপাশি, পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিলো বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশনা। বাদক ইমনের ঢোলের তালে ও হাসান দেওয়ানের হারমোনিয়াম ও কণ্ঠে ফুটে উঠে উঠেছে জনপ্রিয় বিভিন্ন সঙ্গীত৷
এসময় আলোচনার এক পর্যায়ে, হাসান দেওয়ান বলেন, কুমিল্লায় বাউল শিল্পীর বর্তমান অবস্থা কোনোভাবে চলছে। আমার বাবার ইচ্ছায় আমি বাউল শিল্পী হয়েছি। বাবার ইচ্ছা ছিলো আমি গান করবো বড় স্টেজে। তিনি আমাকে উৎসাহ দিতেন। ছোট ছোট গান থেকে শুরু করে আমার এই পর্যন্ত আসা। আমার গুরু হচ্ছেন রাসেল দেওয়ান। আমি উনার কাছ থেকেই বাউল গান শিখেছি। কুমিল্লায় ৩০-৩৫ জন বাউল শিল্পী রয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাউল শিল্পী হয়ে গান গেয়ে জীবন পরিচালনা সম্ভব না হলেও আমি চালিয়ে যাবো। আমার বাবার ইচ্ছা ও গানকে ভালোবেসে আমি বাউলকে আকড়ে ধরে রাখবো। এই পর্যন্ত আমি সবচেয়ে বেশী কুমিল্লায় মঞ্চ শো করেছি। কুমিল্লার বাহিরে ঢাকায়ও করেছিলাম। গান গাইতে গিয়ে অনেক মধুর স্মৃতিও রয়েছে।
আমি বলবো, একজন বাউল শিল্পী হতে হলে মনে প্রেম থাকতে হবে। মনে প্রেম ছাড়া বাউল শিল্পী হওয়া যাবে না। আর মঞ্চ শো করার জন্য শিল্পীর পাশাপাশি বাদকদেরও কদর রয়েছে৷ গান গাওয়া আমার শখ। গানকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই আমার।
টক শো শেষের পূর্বে ‘সখী তোরা প্রেম করিও না’ সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়। বাউল শিল্পী হাসান দেওয়ানের কণ্ঠের মাধুর্য্যতা ও মোর্ছনায় মাতিয়ে রেখেছিলো পুরো অনুষ্ঠানকে।