কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। মিছিল শেষে উপজেলা প্রশাসক মোঃ জামাল হোসেন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে উপজেলা যুবদল।
এ দিকে দুপুরে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে দেখা করেছে উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। সামাজিক কোন্দলের কারণে এ ঘটনা দাবি উপজেলা জামায়াতের।
মঙ্গলবার(১৮ মার্চ) বিকেলে দলের উপজেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুনবতী ইউনিয়ন বিএনপি আহ্বায়ব আ ন ম সলিমুল্লাহ টিপু, আলকরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসমাইল, উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন পাটোয়ারী নুরু, উপজেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন আল মামুন, চিওড়া ইউনিয়ন বিএনপি সেক্রেটারি কাজী রকিব, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, উপজেলা যুবদল সদস্য সচিব শাহনেওয়াজ মজুমদার, উপজেলা যুবদল সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মিয়া মোঃ জুবায়ের, পৌর যুবদল আহ্বায়ক মোঃ হাসান, বাতিসা ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম ভুঁইয়া, আলকরা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রবিন পাটোয়ারী প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে উপজেলার জামাতের আমীর মাহফুজুর রহমান, জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন সহ নেতৃবৃন্দ প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে দেখা করেন।
উপজেলা আমির বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে বাড়িঘরে হামলা হয়েছে তা দেখতে আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এসেছি। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে আমরা কথা বলেছি এবং আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। মুলত সামাজিক কোন্দলের কারনে এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। সব কয়টি পরিবার নিরিহ যাদের বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে।
কেউই এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা আমাদের বলেন নাই। বরং তারা বলেছে দু’পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধান করে দিতে। আমরা তাদের বলেছি সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের ভাইয়ের নির্দেশে আমরা এসেছি আমাদেরকে উনি পাঠাইছেন। আমরা বসে তাহের ভাইয়ের পরামর্শ এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে এই ঘটনার সুরাহ করে দিবো।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৭ মার্চ সন্ধায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উপজেলার আলকার ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়দলের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। ভাংচুর করা হয় বেশকিছু বাড়িঘর।