কুমিল্লা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ওই যুবক মসজিদে নামাজ আদায় করেছে। তারপরই সে গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। লোকজন পিটুনি দিলে সে তার নাম মারুফ বলে জানায়। এ ছাড়া সুমন নামে আরও একজন তার ওস্তাদ বলে সে জানিয়েছে।
গাড়িটির চালক মো. রবিউল্লাহ বলেন, ‘মাগরিবের নামাজের পরপর ঘটনা। এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারের পাজেরো স্পোর্টস গাড়িটি অফিস ভবনের করিডরে রেখে আমি পাশে চা খেতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে দৌড়ে গিয়ে দেখি মুখোমুখি দুটি গাড়ি দাঁড় করানো। একজন ঠিকাদারের গাড়িটি সামনে না পড়লে চোর গাড়িটি নিয়ে যেতো।’
চালক রবিউল্লাহ দাবি করেন, পাজেরো স্পোর্টস কারের (ঢাকা মেট্রো- ১৩- ৯৭৩০) চাবিটি তার সঙ্গেই ছিল। চোর অন্য কোনও কৌশলে গাড়িটি চুরি করে চালু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলজিইডির ঠিকাদার মো. মাহবুবুল আলম সরকার বলেন, ‘এলজিইডি কার্যালয়ে এসেছিলাম একটি কাজে। এলজিইডি সড়কে ঢুকতেই নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িটির মুখোমুখি হয় আমার গাড়ি। এর মধ্যেই কে যেন পেছন থেকে গাড়ি চোর বলে চিৎকার দেয়। তারপরই আমরা তাকে আটকাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত নিরাপদ একটি জায়গা থেকে সরকারি দামি গাড়ি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার দুঃসাহস দেখে অবাক হচ্ছি।’
এ সময় এলজিইডি কার্যালয়ে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্য রফিকুল বলেন, ‘সারা দিনই অনেক গাড়ি আসা-যাওয়া করে। আমরা কাউকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কিংবা চেকিং করি না। স্যারের গাড়িও বেশ কয়েকবার আসা-যাওয়া করে। তাই স্যারের গাড়িও যখন যাচ্ছিল তখনও জিজ্ঞাসা করা হয়নি।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘এলজিইডি অফিসের লোকজন এক গাড়ি চোরকে ধরে আমাদের কাছে দিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম মারুফ হোসেন। সে কুমিল্লা নগরীর কাটাবিল এলাকার গদার মা কলোনির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
সরকারি গাড়ি অফিস থেকে চুরির চেষ্টায় নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার সারা দিন কোথাও বের হইনি। গাড়ি অফিসেই ছিল। চোরকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।’