কুমিল্লায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে দাফনের ১০ মাস পরও মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ। গত বছরের ৮ এপ্রিল কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ধর্মপুর এলাকার কালভার্টের উপর থেকে স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় (২৭) এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধারকৃত ব্যাক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারায় কুমিল্লা আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে উক্ত মরদেহ দাফন করা হয়। গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বারপাড়া ইউনিয়নের ধর্মপুর মেসার্স আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াদুদ এলপিজি ষ্টেশনের বিপরীত পাশের কালভার্টের উপর মুমূর্ষ অবস্থায় এক ব্যাক্তি পড়ে রয়েছেন স্থানীয় জনতার মাধ্যমে এমন ঘটনার খবর পেয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পূর্বেই স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মোস্তফা কামাল লাশ ঘরে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সূরতহাল প্রস্তুতকালে পিঠের বিভিন্ন স্থানে ও বাম হাতের কনুইয়ের নিচে এবং বাম পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলের গোড়ার দিকে সামান্য ছেড়া দৃশ্যমান জখম দেখতে পান। সূরতহাল শেষে মরদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এসময় মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি’র) দুটি বিশেষজ্ঞ দল ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করলেও তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি। অজ্ঞাতনামা মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দাঁত নমুনা স্যাম্পল প্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীতে ডিএনএ প্রেরণ করা হয়।
এব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই মো. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৭/১৫০, তারিখ: ১০/০৪/২০২৪ খ্রি.। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই জিয়াউর রহমান জানান, আমরা মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এখন পর্যন্ত পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, উল্লেখিত মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনে পেপার কাটিং ও সিআইডি গ্যাজেড-এ প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।