বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও আবদুল হান্নান মাসুদ।
তবে এই গুঞ্জন কতটুকু সত্য, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গতকাল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী খবর পাওয়া গেছে, বিবিরবাজার সীমান্তে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করবে। আগরতলায় শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের আদলে সরকার ঘোষণা করবে।
হাসনাত বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের গংদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা কখনোই বাংলার মাটিতে সফল হবে না। ফ্যাসিবাদের দালাল যারা রয়েছে– ছাত্রলীগ, যুবলীগ, টোকাই লীগ, বাংলাদেশের কোথাও পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করলে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হওয়ার ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সীমান্তে সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে গুঞ্জনের সত্যতা মেলেনি। তবুও পুলিশ এ ধরনের তৎপরতা প্রতিরোধে কাজ করছে।
কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ ধরনের খবর আমাদের কাছেও এসেছে। এ বিষয়ে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে। ইত্তেফাক