নাজিরপাড়া বাসিন্দা দেলোয়ার আহমেদ বলেন, তাদের বাসার নীচতলায় বৃষ্টির পানি চলে এসেছে। গতকাল রাত থেকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মিশন রোডে অটোচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৬টায় সড়কে নেমেছেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাসাবাড়িতে থেকে বের হননি। যাত্রীর অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন চলাচল খুবই কম।
পালপাড়ার বাসিন্দা নাজমুল হক বলেন, চলতি বছর টানা বৃষ্টি হলেও গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি ছিলো। তাদের বাসায় অনেক পানি।
শপথ চত্বরে মাঠা বিক্রেতা বিকাশ ঘোষ বলেন, সকাল ৬টা থেকে মাঠা বিক্রি করার জন্য বসেছেন। বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন ক্রেতা আসেনি। মাঠা বিক্রি করেই তার সংসার চলে। যার কারণে বৃষ্টিতে ঘরে থাকতে পারেননি।
সদর উপজেলার দক্ষিণ আলগী গ্রামের বাসিন্দা ওয়ালিউল্যাহ বেপারী বলেন, টানা বৃষ্টিতে বাড়ির চারপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সড়কে বেহাল অবস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে থেমে থেমে সারা রাত বৃষ্টি ও বজ্রপাত ছিলো।
চাঁদপুরে সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবহন চলাচল কমে যায়। অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসাতে চলে যান।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো: শোয়েব বলেন, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা হতে ৫ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০ মিলিমিটার এবং আজ শনিবার সকাল ৬টা হতে ৯টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা হিসেবে এ বছর জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৫০ মিলিমিটার।
এরআগে ২৭ মে জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।