কুমিল্লায় ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চৌদ্দগ্রাম শাখায় টাকার সংকটে গ্রাহকের চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে একটি চেকে ১০ হাজার টাকাও উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহকরা। এতে অনেক গ্রাহক ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যান। গ্রাহকের চাপে এক সময় ব্যাংক ম্যানেজারও বের হয়ে যান।
সাহিদা নামে এক গ্রাহক প্রথমে একটি ৪০ হাজার এবং পরে একটি ১০ হাজার টাকার চেক দিয়েও টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভে কর্মকর্তাদের সামনে দুটি চেক ছিঁড়ে ফেলে দেন। টাকা সংকটের বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছেন।
বুধবার রুবেল নামে এক গ্রাহক টাকা তুলতে এসে টাকা না পেয়ে বলেন, ‘ব্যাংকটির এই শাখায় আমার বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে। চলতি মাসের ১ তারিখে সাংসারিক খরচের জন্য ২৫ হাজার টাকা উত্তোলনের জন্য চেক জমা দিয়ে আজও আমি টাকা পাচ্ছি না। কবে নাগাদ টাকা উত্তোলন করতে পারব তাও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না।’
রুবেল, সাহেদা ও আমেনা খাতুনের মতো শত শত গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে ভিড় করে যাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেন-দরবার করে যাচ্ছেন। তারা কোনো টাকাই দিতে পারছেন না। অনেকে হতাশ হয়ে জমানো কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন।
গ্রাহকের অভিযোগ– অন্যান্য শাখার ন্যায় এ শাখাও খেলাপি ঋণের দায়ে জর্জরিত। এখন ব্যাংকে টাকা নেই। গ্রাহকের টাকা গেল কার পকেটে? চাপে পড়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. রায়হান তাঁর কক্ষ ছেড়ে ব্যাংকের ওপরের একটি ঘরে গোপনে বসে আছেন। কিন্তু গ্রাহকের কী হবে?
গতকাল বিকেলে গ্রাহকরা চলে যাওয়ার পর ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক মো. রায়হান সাংবাদিকদের জানান, সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে সারা বাংলাদেশে ন্যাশনাল ব্যাংকের সব শাখায় নগদ টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। একযোগে সব গ্রাহক টাকা উত্তোলনের জন্য চেক জমা দেওয়ায় ব্যাংকের প্রধান শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। কারও টাকা না পাওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।