বোস বলেন, ‘রাজ্যপাল হিসেবে আমি মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। বাংলার সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আমি স্থির করেছি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিকভাবে বয়কট করব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কোন সরকারই মঞ্চে থাকবো না। সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য আমি তার বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ নেব। রাজ্যপাল হিসেবে আমার ভূমিকা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ওই বৈঠক লাইভ সম্প্রচার করতে হবে, যদিও তাতে সাড়া দেয়নি মমতার প্রশাসন। ফলে ভেস্তে যায় বৈঠক। রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নের সভা ঘরে প্রায় ২ ঘ্ণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরেও যখন তৃতীয়বারের মত এই বৈঠক ভেস্তে যায়, তখন সংবাদ সম্মেলন করে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল ‘মানুষের স্বার্থে আমি নিজে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। কিন্তু আমি চাই মানুষ বিচার পাক। তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।’