মাধ্যমিকের অন্যান্য শ্রেণির পাঠ্য বই পরিমার্জন ও সংযোজনে ঢের সময় লেগেছে। এমনকি ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহেও এসেছে পরিমার্জন। এসব কারণে পাণ্ডুলিপি নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়। মাধ্যমিকের (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) প্রায় ৩১ কোটি পাঠ্য বইয়ের মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩২ লাখের মতো বই। এনসিটিবি’র আশা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বাকি পাঠ্য বই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের হাতে। এনসিটিবি চাইছে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বই প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
এনসিটিবি জানুয়ারির প্রথম তিন সপ্তাহের কথা বললেও মুদ্রাকররা বলছেন ভিন্ন কথা। মুদ্রাকর আকাশ আহমেদ বলেন, পরিমার্জনে দেরি হওয়ার কারণে পাণ্ডুলিপি পেতে আমাদের দেরি হয়েছে। সেইসঙ্গে কাগজ সংকট, পুনরায় দরপত্র ও কার্যাদেশ দেরিতে দেয়ার কারণে আমাদের আনুষঙ্গিক কাজগুলো পিছিয়ে গেছে। এখন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্য বই পৌঁছে দিতে ফেব্রুয়ারি মাসের পুরোটা লেগে যেতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ১লা জানুয়ারি আমরা সব শ্রেণির পরিমার্জিত ৪১১টি বইয়ের সফট কপি অনলাইনে প্রকাশ করবো। ১০ই জানুয়ারির মধ্যে সব উপজেলার প্রাক-প্রাথমিক, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছি, সেভাবেই কাজ চলছে। আর এ শ্রেণিগুলোর অন্যান্য সব বই চলে যাবে ২০শে জানুয়ারির মধ্যে। পরীক্ষার বিষয় থাকায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বইগুলো বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ছাপানো হয়েছে। এগুলো ৫ই জানুয়ারির মধ্যে সব উপজেলার শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কিছু বই আমরা জানুয়ারির প্রথমাংশে তাদের হাতে পৌঁছে দিতে চাচ্ছি। এসব শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বই ১০ই জানুয়ারির মধ্যে সব উপজেলায় পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি।