নিহতরা হলেন- মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)। তারা দুজনই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়ার সমর্থক।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান।
এতে বাধা দেন সামসু মেম্বার ও তার লোকজন। পরে দুপক্ষই টেঁটা, বল্লম, দা, ছুরি ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে একজন ও ছুরিকাঘাতে আরও একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহামুদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামসু মেম্বার ও সালাম মিয়া এবং তাদের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অফিশিয়ালি দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।