শনিবার ( ৫ অক্টোবর ) সন্ধ্যা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের চাউলভান্ডার এলাকার হেমায়েতে ইসলাম মাদ্রাসায় ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সভা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের উপজেলার বাগমারা বাজার, পাশের লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মনিরুল হক চৌধুরী হচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা , সাবেক এমপি ও কুমিল্লা ১০ নির্বাচনী এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশি । অপর দিকে, মোবাশে^র আলম ভুইয়া হচ্ছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও কুমিল্লা ১০ নির্বাচনী এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশি। একই আসনে আরেকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন এই আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক বিএনপি দলীয় এমপি আবদুল গফুর ভুইয়া।
মোবাশ্বেরের অনুসারী লালমাই উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন মজুমদারের ভাষ্য, তাঁদের ওপর হামলা চালানোর সময় নেতৃত্বে থাকা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরীর অনুসারী। হামলাকারীরা সবাই ওই পক্ষের।
মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ভবিষ্যতেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। আর দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে প্রার্থী হতে চান মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া। তিনিও ২০০৮ সালে এই আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী ছিলেন।
যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মনির চৌধুরীর লোকেরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমি নিজেও গুরুতর আহত হয়েছি। হামলাকারীরা সভাস্থলের চেয়ার, মঞ্চ ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। আমাদের পক্ষের আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে এবং কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা প্রথমে হামলা করে। আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। এতে তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে।’
মোবাশ্বের পক্ষের অনুসারী বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সভায় আমিসহ বিএনপির কয়েকজন নেতা অতিথি হিসেবে যাই। বিকেল থেকে সভা শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর সভা পুনরায় শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই আমাদের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। আমিসহ ১২ থেকে ১৩ জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছি।’
লালমাই উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে আমি অনেক দিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিইনি। আমি কীভাবে হামলার নেতৃত্ব দেব? শুনেছি, তাঁরাই মনির (মনিরুল হক চৌধুরী) ভাইয়ের নেতা–কর্মীদের কুপিয়ে জখম করেছেন। আহত ব্যক্তিরা এখন লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি।’
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ