লালমাইয়ে স্বামীকে হত্যা করে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখেন স্ত্রী

আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পুলিশে খবর দেন স্ত্রী নিজেই
সুজন মজুমদার ।।
প্রকাশ: ৫ মাস আগে
নিহত স্বামী বাবলা

কুমিল্লার লালমাইয়ে হত্যার পর মো. এজাহার উদ্দিন বাবলা (২০) নামের এক যুবককে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশকে খবর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম (১৯) এর বিরুদ্ধে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এজহার উদ্দিন বাবলা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার এলাকার চণ্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত ঘাতক স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তারা উভয়ে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। লালমাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন নিহত বাবলা ও তার স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম। তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হত।

শুক্রবার রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম স্বামী বাবলার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্বামী বাবলার। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর জন্য স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম স্বামী বাবলার মরদেহ ঘরের সিলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে ফোন করে জানায় তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে স্ত্রী জান্নাতুন নাঈমকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেন। ওসি আরও বলেন, মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় স্ত্রী জান্নাতুন নাঈমকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।