প্রতিযোগিতায় কোমলমতি , শান্ত ও স্নিগ্ধ শিশুদের আঁকা ছবি কিনে নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি কর্তৃক বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিন বিভাগের বিজয়ী ৯জন প্রতিযোগির আঁকা ছবি গুলো তিনি নগদ অর্থ দিয়ে কিনে নেন।
শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর এই ৯জন বিজয়ী ঘটনার আকস্মিকতায় আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন। তাদের কাঁচা হাতের আঁকা ছবি এত বড় একটি অনুষ্ঠানে হাজী ইয়াছিন সাহেবের মতো একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ এভাবে কিনে তাদের উৎসাহিত করবেন তা – নাকি তারা ভাবতেই পারেন নি – প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তাদের অভিভাবকরা।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি কর্তৃক দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের গতকাল মঙ্গলবার ছিল শেষ দিন। এদিন শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত নগরীর প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। পরে একই দিন বিকালে টাউন হল মিলনায়তনে এর পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন। এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমীরুজ্জামান আমীর, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ভিপি জসিম উদ্দিন,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ,জাসাস কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিশুদের আঁকা ছবি কিনে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন বলেন, আসলে বিষয়টি আমি কিন্তু ঐ ভাবে দেখছি না। কোমলমতি শিশুদের আঁকা ছবি গুলো দেখে আমার কাছে এতই ভালো লাগলো যে, আমি যেন কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। এত ছোট ছোট বাচ্চারা কি অসাধারণ ছবি এঁেকছে। তাই আমি তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিলাম যে, আমি যদি ওদের আঁকা ছবি গুলো আজ কিনে নেই, তাহলে ওরা যে উৎসাহটা পাবে , যে রকম খুশি হবে তা কোন কিছুর বিনিময়ে তুলনা করা যাবে না। এতে, তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো ভাবে আঁকার চেষ্টা করবে। অপর দিকে, আমার মতো আরো কোন না কোন অতিথি এমন ভাবে ওদের ছবি কিনে নিয়ে ওদেরকে উৎসাহিত করবে । এতে এক দিকে এই বাচ্চাগুলো যেমন খুশি হবে অন্য দিকে তাদের অভিভাবকরাও আনন্দিত হবে।
হাজী ইয়াছিন আরো বলেন, আমি বিশ^াস করি, আজকের শিশুরা যেমন আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিবে ঠিক তেমনি আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে এই শিশুদের সঠিক ভাবে পরিচর্যা করে বেড়ে উঠতে সহায়তা করা।