কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ এবং জুলাই বিপ্লবে আহতদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কোটবাড়ির দি ফুড কোর্ট রেস্টুরেন্টে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও ইউসুফ ইসলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ওসামা রায়হান, সাবেক কুবি শাখা সভাপতি শাহাদাত হোসাইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্য সচিব মো: রাশেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন রুবেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ইউসুফ ইসলাহী বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জুলাই আন্দোলনে ছাত্রশিবির যেভাবে ভূমিকা রেখেছে সেটা আপনারা অবলোকন করেছেন। ছাত্রশিবির সব সময় যৌক্তিক ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিবিরের নেতাকর্মীরা নানা অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছে। তাও ছাত্রশিবিরের একতা কেউ নষ্ট করতে পারেনি। ভার্সিটিতে পড়ে যে ইসমাল চর্চা করা যায়, টাখনুর উপর প্যান্ট পরা যায়, কুরআন হাদিসের বিধি বিধান মেনে চলা যায় সেটা আপনারা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের দেখলে বুঝা বুঝতে পারবেন। আমরা আপনাদের সাথে বসেছি আপনাদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য। আগামীতে এই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সবার অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান সম্পাদক ওসামা রায়হান বলেন, আমি প্রথমে যাদের কারণে আমরা ফ্যাসিস্ট মুক্ত, স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেইসব শহীদদের স্মরণ করছি। শিবির একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চা ও মেধার বিকাশে ভূমিকা রাখবে। শিবির একটি ওপেন মার্কেট প্লেস হবে৷ যেখানে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আমরা যদি একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারি তাহলে সামনের দিনগুলো ভালোভাবে কাটাতে পারবো।
শাহাদাত হোসাইন বলেন, আপনারা শিবিরের ডাকে সাড়া দিয়েছেন সেইজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আগামীতে পৃথিবী আগামীতে মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জুলাই আন্দোলনের পর যেই রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে সেটা থেকে আমরা এটা পরিস্কার যে আমরা আর সংঘর্ষ চাই না। আমরা শান্তি চাই। আমরা গোত্র, ধর্ম, জাতিতে আর বৈষম্য চাই না। সবাই বাক স্বাধীনতা পাক, নিরাপত্তা ফিল করুক এটা চাই। একটা ক্যাম্পাস সকলের জন্য নিরাপদ হোক এটাই চাই। আমরা এভাবে আগামীদিনের ক্যাম্পাসকে উন্নতিতে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই।
ইফতার মাহফিল শেষে আগত অতিথিবৃন্দের মাঝে শিবিরের ডায়েরি, ম্যাগাজিন ক্যালেন্ডার ও বিভিন্ন প্রকাশনা উপহার দেওয়া হয়।