সরকারি খাল দখলে মুরাদনগরে মানছে না প্রশাসনের বিধিনিষেধ

শীঘ্রই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো - ইউএনও
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ years ago

রুবেল মজুমদার ।

মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানা এলাকায় সরকারি খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এক বছরেও কার্যকর হয়নি জেলা প্রশাসনের আদেশ। উপরন্তু সরকারী আদেশ অমান্য করে সরকারি খাস জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালী দখলদার চক্র ।

জানা যায়, অভিযোগ পেয়ে ২০২০ সালে সরকারি খালের জায়গায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু আদেশ অমান্য করে আবার অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতাবলে একই খালের উপর দোকান নির্মান করে মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামের সাফি উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিন পর দিন খাল দখল করে সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ।

সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন হায়দরাবাদ মৌজায় সামছুল হক কলেজ এলাকায় তাজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন খালের জায়গায় পাকা ভবনের কাজ করে দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে ব্যানিজ্য কাযক্রম চালাচ্ছে ।

এলাকার লোকজন ও সামছুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৫ মে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসন সিন্ধান্ত গ্রহন করে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশ জারি করেন,কিন্তু বিগত এক বছরেও এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে উক্ত স্থানে দোকান গুলো চালু রয়েছে।

এ বিষয়ে সামছুল হক কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, আমরা কয়েকবার অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি। এতে কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।কলেজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে প্রশাসনের উচিত জরুরিভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব হালিমা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কলটি কেটে দেন।তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে, তিনি দখলদারদের সাথে যোগসাজছে সরকারি জায়গা দখলের সহযোগিতা করছেন।

মুরাদনগর থানার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন,বিষয়টি আমি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাস বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় উচ্ছেদের একটি আদেশ দিয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বদলিজনিত কারনে হয়তো বা উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। শীঘ্র আমরা উচ্ছেদ পরিচালনা করবো ।