সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদকে ‘জুতাপেটা’ করতে চাইলেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাচিত সভাপতি কবিরুল ইসলাম শিকদার।
গতকাল শুক্রবার সকালে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ইচ্ছার কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ব্যাটমিন্টন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদকও।
ফেসবুক পোস্টের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
ফেসবুক পোস্টটিতে কবির শিকদার সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের একটি ছবি সংযুক্ত করেন। ছবিটিতে হাছান মাহমুদকে একটি খাবার টেবিলে নানা পদের খাবার সামনে রেখে খেতে দেখা যায়। ছবিটির ক্যাপশনে আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার লিখেছেন, ‘রাজনীতি করি আর না করি … যাদের অতীব অগ্রহণযোগ্য কথোপকথনে দলের গ্রহণযোগ্যতায় ধস নেমেছিল দেশে আসলে পাইলেই এদের জুটাপেটা করা হবে, কে কে আমার সাথে থাকবেন?’
তার ওই পোস্টে আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন জানাতে দেখা গেছে কমেন্টে। শাহনেয়াজ ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তি কমেন্টে লিখেছেন ‘এরাই একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে ডুবিয়েছে।’
বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লা জেলার সহ সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস লিখেছেন, ‘ওনার কথা শুনে মানুষ হাসতো। তাই ওনার নাম ছিল হাসাও মাহমুদ, তবে শেখ হাসিনা ওনাকে পছন্দ করতেন।’
রোমেন শুভ লিখেছেন ‘ ইনশাআল্লাহ ভাই..এগুলোরে জুতাপেটা করলেও দলের যে ক্ষতি করে গেছে তা পোষানোর মতো না।’
শুক্রবার রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ওই পোস্টে ৬৮৯ ব্যক্তি লাইক ও ৩১৯ জন নেতিবাচক কমেন্ট ও ৭ জন শেয়ার করেছেন। সরকার পতনের পর থেকে হাসান মাহমুদ বিদেশে আত্মগোপনে আছেন।
ওই পোস্টের বিষয়ে এদিন দুপুরে কবির শিকদার বলেন, এই হাছান মাহমুদরা বঙ্গবন্ধুর যে আওয়ামী লীগ, তৃণমূলের যে আওয়ামী লীগ, সেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেছে। আমাদের প্রিয় নেত্রীকে ভুলভাল বুঝিয়ে এই টাইপের নেতাদের কারণেই আজকের আওয়ামী লীগের এই দশা। তারা বিদেশে আরাম আয়েশের জীবন পার করছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মী নির্যাতন শিকার জানিয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে প্রস্রাব করার প্রতিবাদে পোস্ট করার পর থেকে আমাকে দুইটা মামলার আসামি করা হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগ করেও কুমিল্লার দানব সাবেক এমপি বাহারের রোষানলে ছিলাম। ঠিকমতো রাজনীতিটা করতে পারিনি। সেই ক্ষোভ থেকে ফেসবুকে পোস্ট করেছি। আরও যারা নেতা আছে তাদের বিরুদ্ধেও লেখা চলবে বলে উল্লেখ করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।