বরুড়ায় জায়গা সংক্রান্ত ঝামেলায় প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে জখম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

মোস্তাফিজুর রহমান।।

কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার লক্ষিপুরে জায়গা সংক্রান্ত ঝামেলায় প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ করেছে আহত ব্যক্তির পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বরুড়া মধ্যম লক্ষিপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আলী নেওয়াজ তার ঘর নির্মাণের কাজ করতে গেলে তার প্রতিবেশী ভাতিজারা বাঁধা দেয়। এ সময় ভাতিজা আল আমীন, নোমান, নাজমুল ও তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় আলী নেওয়াজের হাত ভেঙে যায় এবং দেশী অস্ত্রের কুপে মাথায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এ সময় তার পরিবারের অনেক সদস্য আহত হয়। আহত আলী নেওয়াজ বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত আলী নেওয়াজের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম বলেন, জায়গা সংক্রান্ত ঝামেলায় তাদের সাথে আজকে ১০ বছর ধরে আমাদের শত্রুতা। এই শত্রুতার জের ধরেই তারা আমার ঘরের কাজে বাঁধা দেয়। আমি আমার জায়গায় ঘর করতেছি তারপরেও আমাকে ঘর করতে দিচ্ছে না। আমরা জিজ্ঞেসা করতে গেলেই আল আমীন, নোমান, নাজমুল সহ তার পরিবারের লোকজন আমাদের উপরে দা,ছেনি নিয়ে হামলা করে। হামলায় আমার স্বামী হাতটা একেবারে ভেঙে গেছে। মাথায় অনেক গুলো সেলাই লাগছে। আমার পায়ে লাঠি দিয়ে পিঠাইছে। এই সন্ত্রাসীরা কয়দিন পর পর আমাদের উপরে হামলা করে। আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।

মিনুয়ারা বেগম বলেন, হেরা খুব উশৃংখল লোক। কিছু দিন আগে আমার উপরে হামলা করে আমার দাত ভেঙে ফেলছে। এখন আবার আমার ভাসুর আর জায়ের উপরে হামলা করছে। তাদেরকে কেউ কিছু বলেনা । তাই তারা বেপরোয়া হয়ে গেছে। মামলা করতে গেলেও মামলা নেয় না। সবাইকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে।
রুমা আক্তার বলেন, আমি হাসপাতালে আসতেছি আমাকে বরুড়া বাজারে ব্যারিকেট দিছে। আমাকে হাসপাতাল যেতে দিবে না। আমার উপরে যখন বাজারে হামলা করে তখন আমি চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।

আহত আলী নেওয়াজ বলেন, আমার হাতাটা একেবারে ভেঙে ফেলছে, মাথায় কুপ দিয়ে জখম করছে। আমি হাতের আর মাথার ব্যথায় অস্থির আমি কিছু বলতে পারবো না।

অভিযুক্ত আল আমীন বলেন, তারা আমার জায়গায় ঘর করতেছে তাই আমরা তাদেরকে সুন্দর করে বলছি তারা শুনে নাই। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। আমরাও আহত হয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় মেম্বার মো. ইউসুফ বলেন, এই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ সমস্যা। এর আগে কোর্টে মামলাও হইছে। আজকে লোকের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারা আবার নাকি মারামারি করছে। তারা দুই পক্ষ সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসলে বিষয়টা আমি দেখবো। যদি আইনের আশ্রয় নেয় তাহলে তো আমার কিছু করার নাই। আর যদি সামাজিক ভাবে সমাধান চায় তাহলে আমি উদ্যোগ নিয়ে বসার ব্যবস্থা করবো।

বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসাইন বলেন, এবিষয়ে কেউ থানাতে অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।