শিক্ষক নিয়োগ: চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন ২৭০৭৪ প্রার্থী

অবশেষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

অবশেষে শিক্ষক হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থী। এ লক্ষ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তাদের নিয়োগে এখন আর কোনো বাধা রইলো না।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এনটিআরসিএ-এর সদস্য (যুগ্ম সচিব) এস এম মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞতিতে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।

এনটিআরসিএ জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন ৩২ হাজার ৪৮০ প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ২৭ হাজার ৭৪ জনকে নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে।

রাতেই সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে এনটিআরসিএ। এছাড়া ফলাফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট পাওয়া যাচ্ছে।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়া ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ হাজার ১৯২ জন পুরুষ এবং৮ হাজার ৮৮২ জন নারী। এর মধ্যে নারী কোটায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৭৬ জন।

বিজ্ঞতিতে বলা হয়, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভি-আর ফরম জমা দেননি। এজন্য তারা বাদ পড়েছেন। প্রাথমিক নির্বাচিত অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনের জাল সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকার কারণে নিযোগে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, সুপারিশ পাওয়া ২৭ হাজার ৭৪ প্রার্থীর মধ্যে কলেজ ও স্কুলে যোগদান করতে পারবেন ১৩ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষক। মাদরাসায় ১১ হাজার ২৭৯ জন, কারিগরিতে ৫১৬ জন, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩ জন ও সংযুক্ত মাদরাসায় ৬২১ জন যোগদান করবেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।

আইনি জটিলতায় দুই দফা চূড়ান্ত সুপারিশ আটকে যায়। এতে প্রাথমিক নির্বাচিতরা চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে চাকরিতে যোগদানের অপেক্ষায় ছিলেন। এ নিয়ে ক্ষোভও ছিল তাদের মধ্যে। বুধবার আইনি জটিলতা শেষ হয়। এখন আর কোনো বাধা নেই।