‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভিক্ষা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ফান্ডে কোনো টাকা নেই - উপাচার্য
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

মহিউদ্দিন মাহি, কুবি।।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ‘দিবস উদযাপন ফান্ড’ এ টাকা না থাকায় জাঁকজমকহীনভাবে ১৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফলে পাঁচ বছর পরেও আমেজহীন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাদের মাঝে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৮ মে। ২০১৬ সালের পর টানা তিনবছর দিবসটি রমজান, গ্রীষ্ম ও ঈদের ছুটির মধ্যে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপন হয়নি এটি। আবার করোনা মহামারির কারণে গেল দু’বছরও এ দিবসে বন্ধ ছিল কুবি। পাঁচবছর পর ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকার সময় দিবসটি আসায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে এটি উদযাপনের প্রত্যাশা করেছিলেন তারা। তবে টাকার অভাব দেখিয়ে দায়সারাভাবেই দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মো. নূর আলম নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভিক্ষা চাই। বিশ্ববিদ্যালয় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।

এছাড়া আরও অনেক শিক্ষার্থী সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৭ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করতে মূল্য সংযোজন করসহ ৮ লক্ষ ১ হাজার টাকার একটি বাজেট প্রস্তাবনা দেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটি। টাকার অভাব দেখিয়ে প্রস্তাবিত কয়েকটি অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে বুধবার (২৫ মে) শুধুমাত্র র‍্যালি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো ও কেক কাটা এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনার জন্য ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮৬৪ টাকার অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে বাজেট প্রস্তাব করেছি। প্রশাসন বরাদ্দ না দিলেতো আমাদের কিছু করার নেই।’

তিনি আরও বলেন, দিবসটি উদযাপনে আমরা একজন মন্ত্রীকে আনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বাজেট না দেওয়ায় আমরা এসবের কিছুই করতে পারিনি।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, দিবসটি উদযাপনের জন্য ফান্ডে কোনো টাকা নেই। আমাদের বাজেট ছিল চার হাজার টাকা। তবু আমরা ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার অনুমোদন দিয়েছি।