জানতে চাইলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে আসছি। নির্বাচনও জোটবদ্ধ হয়ে করতে চাই।’
বগুড়া-২ আসনে ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এমপি হন। এর পর ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি জয় পায়। ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। ২০১৮ সালে ধানের শীষ নিয়ে মান্না হেরে যান জাপার কাছে।
সূত্র জানায়, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মুখে কিছু না বললেও দলের বাইরে কাউকে মেনে নেবেন না। ইতোমধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতা বলেছেন, বগুড়ায় একটি আসনও সমমনাদের দেওয়া হবে না। স্থানীয় বিএনপির দুটি গ্রুপের বড়টি নিয়ন্ত্রণ করেন মীর শাহে আলম। তারা সবাই মান্নাবিরোধী। তবে অন্য পক্ষ ভেতরে ভেতরে মান্নাকে সমর্থন দিচ্ছে।
বিএনপির একাংশের দাবি, মান্না নৌকা এবং ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেও জিততে পারেননি। আগামীতে জোটের প্রার্থী হিসেবে কেটলি নিয়ে লড়লে আসনটি জামায়াতের ঘরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি বলেন, ‘মান্নাকে আসন ছাড় দেওয়া হবে কিনা, জানি না। তবে তাঁর সম্পর্কে বিএনপির ভোটার ও নেতাকর্মীর ধারণা নেতিবাচক।’
মীর শাহে আলম বলেন, ‘বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেখভাল করছেন। দল যাকে বেছে দেবে, তাঁর হয়ে কাজ করব।’