দরজা ভেঙে মা দেখলেন মেয়ের ঝুলন্ত লাশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পড়ালেখা নিয়ে শাসন করায় জান্নাতুল ফেরদৌস (১৫) নামে এক কিশোরী ফাঁস দিয়েছে। শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মুটবী গ্রামের মুন্সীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত জান্নাতুল ফেরদৌস সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মুটবী গ্রামের মুন্সীবাড়ির সৌদি প্রবাসী জামাল উদ্দিনের মেয়ে। সে বজরা ইউনিয়নের ছনগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহতের স্বজনরা জানায়, পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা প্রবাসী জামাল উদ্দিন মুঠোফোনে দুইদিন আগে তাকে শাসন করেন। এতে জান্নাতুল ফেরদৌস মন খারাপ করেন। শুক্রবার দুপুরে মা পারভিন আক্তার ছোট ছেলেকে মাদরাসায় দেখার জন্য পাশের উপজেলা বেগমগঞ্জে যান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করেন। ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখেন, জান্নাত ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

নিহতের মা পারভিন আক্তার বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে কারও ঝামেলা নেই। কোনো ধরনের প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক নেই। ওর বাবা মোবাইলে পড়াশোনার জন্য বলত। এছাড়া আমি ওকে শাসন করতাম না। পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না।

নিহতের মামা ও ছনগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস মোটামুটি মানের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা বিদেশে থাকায় তিনি পড়ালেখার খবর নিতেন। এছাড়া কিছুই না।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে এসআই মো. জামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তারপর প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।