কুসিক নির্বাচন : কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু, ১২ জুনের মধ্যে শেষ হবে ইনস্টেলেশন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

কুমিল্লার মধ্যে দিয়ে দেশে প্রথমবারের মত নির্বাচনী কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। গেলো মঙ্গলবার কুমিল্লায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১২ জুনের মধ্যে সিসি ক্যামেরা ইনস্টলেশনের কাজ শেষ হবে।
বুধবার সকালে কুসিক রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, এবারই দেশে প্রথম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহন করে নির্বাচন কমিশন। তা বাস্তবায়ন হবে শতভাগ। স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা জোরদারে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, এসব সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে থাকবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারগণও। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন রিটানিং কর্মকর্তা।
রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী আরো বলেন, ১২ জুনের মধ্যে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ১০৫ টি কেন্দ্রের ৬৪০ টি বুথে ক্যামেরা লাগানো হবে। এছাড়া ক্যামেরায় ভোটারদের উপস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনি আরো জানান, কেন্দ্রে ও বুথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও ভোট দেয়ার গোপন কক্ষ এই ক্যামেরার আওতামুক্ত থাকবে। এতে ভোটারদের গোপনীয়তা অক্ষুন্ন থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১ নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশনের একটি টীম। একই সাথে নগরীর আরো ১১টি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের কক্ষগুলোতে বিপ্রতীপ ভাবে ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে যেন কক্ষে যারা ভোট দিতে ঢুকবেন এবং যারা কক্ষে অবস্থান করবেন তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যায়। সেক্ষেত্রে ভোট গ্রহনের জায়গাটিকে ক্যামেরার আওতামুক্ত রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এসব ক্যামেরা ভোটের আগের দিন রাত থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত চালু থাকবে। এসময়ের মধ্যে কেন্দ্রের সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ করতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি প্রার্থী ও ভোটারদের কাছে জবাবদিহিতার প্রমান হিসেবে কাজ করবে। কোন প্রার্থী যদি নির্বাচনে অনিয়মের চ্যালেঞ্জ করেন তাহলে আদালতের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা রেকর্ড পর্যবেক্ষণ সুবিধা পাবেন।