বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া যেন জীবন কল্পনাই করা যায় না। তবে প্রতি মুহূর্ত এর পেছনে সময় ব্যয় করতে গিয়ে আমরা আসক্ত হয়ে পড়ছি। চাইলেও অনেক সময় আসক্তি দূর করা যায় না।
আর স্মার্টফোনের নানামুখী ব্যবহারের কারণেই এটি ছাড়া এক মূহুর্ত চলা দায়। অধিকাংশ সময় ফোনের থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশন প্রবেশ করছে আমাদের শরীরে। তাই অসুখে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তাই স্মার্টফোন কোথায় রাখলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, আর বাঁচতে হলে কী করবেন? এর কিছু কিছু কৌশল রয়েছে। চলুন, সেই সব কৌশলগুলো জেনে নেয়া যাক।
১.প্যান্টের পেছনের পকেটে ফোন রাখলে আপনার পায়ের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া ফোন সামনের পকেটে রাখলে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়।
২. সামনের পকেটে ফোন রাখলে হার্টের ক্ষতি হতে পারে। কারণ ফোন থেকে যে রেডিয়েশন বের হয় তা হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৩. রান্নাঘর বা আগুনের কাছাকাছি রাখলে স্মার্টফোন ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগুন থেকে দূরে রাখতে হবে।
৪. শিশুরা ফোন নিয়ে খেলা করলে তাদের হাইপারঅ্যাকটিভিটি, ডিফিসিট ডিসঅর্ডার-এর মতো নানা অসুখ দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার কী?
১. মোবাইল পকেটে না রেখে ব্যাগে রাখতে হবে।
২. বেশিক্ষণ কথা বললে ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করুন।
৩. প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোনটি বন্ধ করে দিন বা এরোপ্লেন মোডে রাখুন।
৪. ফোনে কথা বলার সময় স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করুন।
৫. চার্জ দেয়ার সময় ফোন অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
৬. স্মার্টফোনে লো ব্যাটারি থাকলে কথা না বলাই ভালো।
Discussion about this post