মোবাইল নিয়েই কেন্দ্রে প্রবেশ

গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

মহিউদ্দিন মাহি, কুবি ।। গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ‘ক’ ইউনিটের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। শনিবার কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের (কুবি) অধীন নয়টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। তবে পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কুবির অধীন কয়েকটি কেন্দ্রে মুঠোফোন ও হাতঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে দেখা গেছে তাদের। এ ছাড়া বিদ্যুত বিভ্রাট, পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন ভোগান্তি পোহানোর অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা।
কুবির অধীন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ কেন্দ্রে মুঠোফোন ও হাতঘড়ি নিয়ে প্রবেশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় এসব যন্ত্র হল পরীদর্শকের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দায়িত্বরতরা। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও অনেক শিক্ষার্থী থেকে মুঠোফোন ও হাতঘড়ি উদ্ধার করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া একই সময়ে কুবি ও এর আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থীই অন্ধকারে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া আফজাল হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অন্ধকারেই তাঁদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ফলে জানলার আবছা আলোতে প্রশ্নপত্র পড়তেই দ্বিগুন সময় লেগেছে তাঁর।
পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করে মঈনুল হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরকে পেয়ে অটো-সিএনিজি ওয়ালারা দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া নিয়েছেন। পরীক্ষা দিতে এসে তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি আমরা।
আবুল বরকত নামে আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, বিজ্ঞানের পরীক্ষা। অথচ অংক রাফ করার জন্য প্রশ্নের মধ্যে কোনো জায়গা রাখা হয়নি। প্রশ্নপত্রের মার্জিনও ছিল কম। ফলে অংক বিভাগ প্রশ্নের উত্তর দিতে কষ্ট হয়েছে তাঁদের।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। ছোটোখাটো দু-একটি বিষয়ে খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তাঁরা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের সাথেও কথা বলে হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে এসব বিষয়ে বাড়তি নজর দিবেন তাঁরা।
পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।