বরুড়া প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আগানগর ইউনিয়নে প্রায় ৪১৯ জন সম্ভাব্য প্রনোদনা প্রাপ্তিদের গ্রামিন ফোন ( জিপি) সিম ক্রয় করতে ইউপি চেয়াম্যান ইফতেখার আলম শাহিন ও ইউপি সচিব নূরুল ইসলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ জুলাই) সকালে রিটেইলার রুবেলের মাধ্যমে জিপি সিম বিক্রেতা প্রতিনিধি মিঠু আজ আগানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২০০ টাকা মূল্যে প্রায় ৯০টি সিম বিক্রি করেন।
এছাড়াও একই ইউনিয়নের মির্জানগর ৫ নং ওয়ার্ডে ৩১টি জিপি সিম বিক্রি করে সুজন ও জাফর মেম্বারের ১ নং ওয়ার্ডেও কিছু সংখ্যাক জিপি সিম বিক্রি করা হয়। সিম বিক্রির ব্যাপারে পূর্ব থেকে চেয়ারম্যান ও সচিব মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করার বিষয়টি বাবুল ও জাফর মেম্বার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নিম্মবিত্ত প্রায় ৬১৩ জনের একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত ৩০ জুনের মধ্যে ৬১৩ জন ২৫০০ হাজার টাকা করে প্রনোদনা পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এর মধ্যে কিছু লোক প্রনোদনা পেলেও অধিকাংশরা প্রনোদনার ২৫০০/- টাকা পায়নি। ৬১৩ জনের পাঠানো তালিকা থেকে ৪১৩ জনের তথ্য সংশোধনী চেয়ে পুনরায় মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ আসে। তালিকাভূক্তরা কবে তাদের প্রনোদনার টাকা পাবে সে বিষয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম শাহিন জানান, আমরা ৬১৩ জনের একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। এর মধ্যে আনুমানিক ১০ পার্সেন্ট লোক প্রনোদনা পেয়েছে। এছাড়াও পাঠানো তালিকা থেকে ৪১৩ জনের তথ্য সংশোধনী চেয়ে পুনরায় মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে একটি নোটিশ আসে।
এর ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকের নিজের এন আইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিষ্ট্রেশন করে নতুন ফোন নাম্বারসহ মন্ত্রণালয়ে পুনরায় পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন কোম্পানীর সিম কিনতে হবে এমন বাধ্যকতা নেই। তাছাড়া আমি সম্ভাব্য প্রনোদনা প্রাপ্তদের জিপি সিম কিনতে বাধ্য করিনি। এ অভিযোগটি সঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বরুড়ার একটি সুনামধন্য অপারেটরের ডিলারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রিটেইলারদের কাছে তারা ১৯০ টাকা দামে সিম বিক্রি করেন। রিটেইলাররা ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত কমিশন পান। সে ক্ষেত্রে অনেক ব্যবসায়ীরা কমিশন ছেড়ে দিয়ে সিম ১০০ অথবা ১২০ টাকা দামে বিক্রি করেন। তবে আমাদের কিছু অফার রয়েছে, যেমন পল্লী এলাকার জন্য একাধিক সিম কিনলে ৪২ টাকা রিচার্জ সহ একটি সিম একশত টাকা বিক্রি করা যায়। তিনি আরো জানান, প্রনোদনা ভোগী মানুষগুলোর কাছ দুইশত টাকায় সিম বিক্রির বিষয়টি খুবই দঃখজনক বলে মত প্রকাশ করেন।
Discussion about this post