সহসাই অভিযান চালানো হবে খুলনার তরমুজের তৈরি জিলাপির দোকানে। পরীক্ষা করে দেখা হবে জিলাপির গুণগত মান। জিলাপি তৈরিতে কী উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
গত দুই দিন ধরে খুলনায় ভাইরাল হওয়া তরমুজের তৈরি জিলাপি বিষয়ে এসব কথা জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম।
খালিশপুরে চিত্রালী সিনেমা হলের সামনে আবদুস সোবহানের ‘ইসলামিয়া মিষ্টি ঘর’ নামের মিষ্টির দোকানে তৈরি হচ্ছে এ তরমুজের জিলাপি।
দোকানের মালিক আবদুস সোবহান রিপন জানিয়েছেন, ফেসবুকে কাঁচা আমের জিলাপি দেখে আমারও নতুন কিছু উদ্ভাবন করার ইচ্ছা হয়। তখন মাথায় আসে তরমুজের বিষয়টি। ১৩ এপ্রিল সকালে আমরা তরমুজের লাল অংশের জুস তৈরি করি। তার সঙ্গে জিলাপির অন্যান্য উপাদান ময়দা ও বেসন মিশিয়ে জিলাপি তৈরি করি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এ জিলাপির বিষয়ে কার্তিক মন্ডল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এসব জিলাপি ফুড কালার আর কেমিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হয়। সব ব্যবসার ধান্দা।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘বাজারে কবে লিচু আসবে, সেদিন আবার নতুন প্রতারণা শুরু হবে। আসলে এগুলোতে তেমন স্বাদ না। এগুলো কেনা মানে প্রতারণার ফাঁদে পা দেওয়া।’
তবে দোকান মালিক আবদুস সোবহান রিপন বলছেন, তিনি কোনো কেমিকেল ব্যবহার করছেন না। পুরো উপাদানে কোনো ফুড কালার নেই।