স্টাফ রির্পোটার
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে সাংবাদিকের পরিবার। বাংলাভিশন টিভি কুমিল্লা প্রতিনিধি, দৈনিক আমাদের সময় এর স্টাফ রিপোর্টার এবং দৈনিক শিরোনাম এ বার্তা সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের জমি দখলের পায়তারা করছে সেই সাথে ওই সাংবাদিকের পরিবারক মামলা হামলা সহ শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই সাংবাদিক পরিবারে বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এমন আরো মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে সাংবাদিক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজের বাড়ি। তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির মামলাবাজ নামে খ্যাত আব্দুল খালেকের। খালেক তার ছেলেদের নিয়ে পারভেজের উপর মানসিকসহ নানা নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি রাজাপুর মৌজায় হাল দাগ-৮২,সাবেক ৫০ নং দাগ, বিএস-১২০ নং খতিয়ান, সিএস-৬ নং খতিয়ান এ তার আনোয়ারা বেগম তাদের পাশর্^বর্তী হরমুজা খাতুন থেকে আনোয়ারা বেগমের নামে ১ শতক ভূমি দলিলমূলেসহ মোট তিন শতক ভূমি মালিক হন। আনোয়ারা বেগম গত ১৯/০১/২১ তারিখে মৃত্যুবরণ করার পর গত ওই ভূমি গত ২৪/০১/২১ তারিখে ওই গ্রামের আবদুল খালেক তার ছেলে সন্তানদের নিয়ে গাছ গাছালি কেটে জবর দখল করতে গেলে পারভেজ বাদি হয়ে কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-পিআর ২০০/২১, তারিখ-২৫/০১/২১। যার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরুল ইসলাম। এর ফলে আদালত ওই মামলার প্রেক্ষিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে আদেশ জারি করেন। সেই সাথে আগামী ১৮ মে ২১ তারিখে মামলার পরবর্তী তারিখ নিধারণ করেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পারভেজের পরিবার অবস্থায়ই আছে। অথচ আবদুল খালেক তার সন্তানসহ আরো লোক নিয়ে আবারো সেই ভূমি জবর দখলের চেষ্টা করছে। পরবর্তীতে পারভেজ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নির্ধরিত তারিখের আগেই আব্দুল খালেক ওই মামলা স্থগিত করিয়ে ফেলেন। বিবাদীকে না জানিয়ে মামলা একতরফাভাবে স্থগিত করায় পারভেজ ও তার পরিবার কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। মামলা স্থগিত করেই আবদুল খালেক ও তার ছেলেরা নানা প্রকার মহুকি ধমকি দিচ্ছে। এতে তার পরিবার আতংকিত হয়ে আছে।
আদালতের চূড়ান্ত কোন আদেশ বা কোন প্রকার মিমাংশা ছাড়াই তার এ আগ্রাসী কর্মকান্ডের ফলে এলাকায় শান্তিভঙ্গসহ অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা বা আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
Discussion about this post