জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২২ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে বর্তমানে প্রায় ৫০ ভাগ শিশু মৃত্যুহার কমাতে সক্ষম হয়েছে সরকার। এ ধারা অব্যাহত রাখতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।

সোমবার থাইল্যান্ডের পাতায়া এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন হলে পার্টনার্স ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধি পর্যায়ের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক ১৯তম আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকার পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, করোনা পরিস্থিতি, বিনামূল্যে হাসপাতাল সেবা কার্যক্রমসহ সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৬৪ ভাগ নারী (১৫-৪৯ বছর বয়সী) সরকারিভাবে বিনামূল্যে গর্ভনিরোধ পদ্ধতি সেবা পাচ্ছে। মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ২৫৯ জন থেকে কমে ১৬৩ জন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের সময়মতো টিকা প্রদান করে বাংলাদেশ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো পুরস্কার পেয়েছেন। প্রজনন সেবার উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে জাতিসংঘের এমডিজি পুরস্কার, ২০১১ সালে সাউথ-সাউথ পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার পেয়েছেন।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫ম স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এ অর্জনগুলো সম্ভব হয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে গঠনমূলক কাজ করার মাধ্যমে। বাংলাদেশের এ সফলতা অন্যদেরও যেমন কাজে লাগবে, তেমনি অন্য দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাতেও কাজে লাগবে। এভাবে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় জিম্বাবুয়ের উপ-রাষ্ট্রপতি ড. সি শিওয়েঙ্গা, ভারতের মিনিস্ট্রি অব হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের ফ্যামিলি প্ল্যানি অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ডিভিশনের অ্যাডভাইজার ড. এস কে সিকদারসহ ২৭টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।