স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন করেছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯ থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। ব্যবসায়ীরা দাবী করছেন সবকিছু চললের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন থাকবে।
সরেজমিনে সকাল সাড়ে ৯ টায় নগর কুমিল্লার প্রানকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স-বিপনী বিতানের ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়েছেন। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন কর্মচারীরা। তারা প্রথমে মানববন্ধন করেন। পরে খন্ড খন্ড মিছিলে একসাথে হয়ে খন্দকার হক টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন। কুমিল্লা জুযেলারী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিপ জামান জানান, গত বছর লকডাউনে ব্যবসায়ীরা যে পরিমান ক্ষতির শিকার হয়েছে তা এ বছরও পুষিয়ে উঠতে পারে নি। তার উপর এ বছর আবার লকডাউন। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ঋণ করে আবারো ঘুরে দাড়ানোর চিন্তা করছে। আমরা ব্যবসায়ী আশা করছি আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমরা আমাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো।
ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বাবু বলেন, সবকিছুই খোলা। শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সংশ্লিষ্টরা যেন বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখেন।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, গত বছর লকডাউনে ক্ষতির ক্ষত এখনো কাটেনি। এ কদিন যখন ব্যবসায়ীরা একটু উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করছিলো তখনই আবার লকডাউন তাদের কোমড়ে আঘাত করলো। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের বাহিরে যেতে পারি না। তাই ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করবো এমন একটি সিদ্ধান্তে আসতে যেন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ না হয় আবার করোনাও যেন সংক্রমন না ঘটাতে পারে।
আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের শান্ত করতে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন। পরে আতিক উল্লাহ খোকন বিক্ষোভ মিছিল সহকারে স্থানীয় সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের কার্যালয়ে হাজির হন।
পরে সাংসদ আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার আহবান জানান। বৃহস্পতিবারের পরে ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর সাথে কথা বলা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কি বলে শুনবো। না হলে স্থানীয়ভাবে সবচেয়ে সুন্দর সিদ্ধান্তটাই আমরা গ্রহণ করবো।
এদিকে সোমবার লকডাউনের প্রথমদিন বিক্ষোভ করেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও হোমনা উপজেলার ব্যবসায়ীরা।
Discussion about this post