ভৈরবে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের পাইকারি বাজার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

শীতের ছোঁয়ায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে লেগেছে উষ্ণতার পরশ। সপ্তাহে এক রাতের পাইকারি বাজারে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সেসব কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ভৈরব বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বসে বাজার। সারা রাত গরম কাপড়সহ বিভিন্ন কাপড় এ বাজারে বেচাকেনা হয়। ভৈরবের এ পাইকারি বাজার ঢাকার কালিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, বাবুর হাট, গাউছিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা কাপড় বিক্রি করতে আসেন। সারা রাত বেচাকেনার পর সকালে ফিরে যান। পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলার খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে কাপড় কিনতে আসেন। প্রতি সপ্তাহে এ পাইকারি বাজারে কোটি কোটি টাকার কাপড় বেচাকেনা হয়।

হবিগঞ্জ জেলা থেকে আসা কাপড় বিক্রেতা জুয়েল চৌধুরী বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহেই ভৈরবের পাইকারি বাজারে এসে কাপড় কিনে নিয়ে যাই। তবে এ সপ্তাহে শীত কিছুটা বেড়েছে তাই গরম কাপড় কিনতে এসেছি। এবার শীতের কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি।

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে আসা পাইকারি ক্রেতা রঞ্জন দাস বলেন, এখন তো শীতের সিজন চলে আসছে। তাই দোকানে বিক্রির জন্য গরম কাপড় কিনতে এসেছি। কারণ শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রেতাদের গরম কাপড় কেনার আগ্রহ বেশি থাকে। এজন্যই জ্যাকেট, সুয়েটার, টুপি, চাদর কিনেছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম বেশি।

ঢাকার কালিগঞ্জ থেকে প্রতি মঙ্গলবার বিকেলেই গাড়িভর্তি কাপড় নিয়ে চলে আসেন সুমন মিয়া। তিনি বলেন, এ বছর শীত বাড়ার আগেই গরম কাপড়ের ক্রেতারা ভিড় করছেন। আমাদের কাছে কারখানায় উৎপাদিত নানান ধরনের গরম কাপড় আছে। সেসব কাপড় ক্রেতারা পছন্দ মতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আরেক পাইকারি বিক্রেতা সুলাইমান মিয়া বলেন, এ বছর দেশের অর্থনীতির অবস্থার কারণে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তাই গরম কাপড়েরও দাম বেশি।