কুমিল্লায় ও চাষ হতে পারে লাল বাঁধা কপি

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ ।। 
প্রকাশ: ১ বছর আগে

এই শীতে সকলের অন্যতম প্রিয় সবজি বাঁধাকপি।বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয় এই সবজি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।দেশে উৎপাদিত বাঁধাকপির প্রায় সব জাতই বিদেশী ও হাইব্রিড। সব জাতের বীজ এদেশে উৎপাদন করা যায়না।দেশে এখন লাল বাঁধাকপিও উৎপাদন হওয়া শুরু হলেও কুমিল্লায় ক’জনই বা দেখেছি লাল বাঁধাকপির চাষ!

কৃষিবিদরা বলছে লাল রঙের এই বাঁধাকপিও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি।এমনই কুমিল্লায় এই প্রথম লাল বাঁধাকপি চাষের সন্ধান পাওয়া যায় কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালকের কার্যালয়ের সামনের একটি বাগানে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে,অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের মধ্যেকার সময় হল লাল বাঁধাকপির চারা বোনার উপযুক্ত সময়। বীজতলায় বেড করার ক্ষেত্রে জমি খুব ভালো করে তৈরী করে বীজ পুঁততে হবে। প্রতি বর্গমিটার বেডের জন্য ১ কেজি হারে পচা গোবর সার মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রতি হেক্টর জমির চারা তৈরি করতে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম বীজের দরকার। ১গ্রাম বীজ থেকে প্রায় ১০০টি চারা গজানো সম্ভব।এই জাতীয় বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ। সাদা বাঁধাকপির থেকে পুরু আবরণ যুক্ত এই সবজি, মচমচে এবং লালচে বেগুনি বর্ণের হয়।

কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান,আমাদের দেশে ইদানিং বেশ কিছু জায়গায় লাল বাঁধাকপির চাষ হচ্ছে। কৃষকরাও এই চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। ধীরে ধীরে লাল বাঁধাকপির চাহিদা বাজারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, অনেক তরুণ কৃষকও এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।আমরাও কুমিল্লাতে লাল বাঁধাকপি চাষের জন্য কৃষকদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।তাই আমি বলি কুমিল্লায় ও চাষ হতে পারে এই লাল বাঁধা কপি।

তিনি আরও বলেন,আমার একটি পরামর্শ থাকবে,যারা এটা চাষ শুরু করেছেন অবশ্যই অগভীর করেই লাল বাঁধাকপির বীজ পোঁতবেন।খেয়াল রাখতে হবে বীজ যাতে মাটির বেশি গভীরে না যায়। রোদে বা অতিবৃষ্টিতে বীজতলার ক্ষতি যাতে না হয়, তাই বীজ বপন করার পর বীজতলায় ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।