জাতীয় নাগরিক পার্টির কুমিল্লা অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, আবদুর রহিমের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ-আলোচনা করেই তাঁকে কুমিল্লা জেলা কমিটির শীর্ষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাসিন্দা ওই বিএনপি নেতার ভাষ্য, তাঁর সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। তিনি ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছেন। এনসিপিতে পদ দিয়ে তাঁকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। তিনি সামনে যেন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে না পারেন, এ জন্যই তাঁকে এমন বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে।
কমিটিতে পাঁচ যুগ্ম সমন্বয়কারী হলেন সৈয়দ আহসান (টিটু), শরীফুজ্জামান, মাজহারুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম সরকার এবং ইব্রাহিম খালিদ হাসান। এ ছাড়া সদস্যরা করা হয়েছে জামাল হোসেন, জাকারিয়া শরীফ, মীর হাসিব মাহমুদ, ফজলে এলাহি (রুবেল), মো.রাসেল ভূইয়া, মো. ওয়ালিউল্লাহ শিশির, লতা সরকার, কাজি নাহিদ হোসাইন, নজরুল আমীন, খোদাদাদ ওমর ভূঁইয়া (অনিক), মাসুদ রানা, এনামুল হক, শ্রাবণী চৌধুরী, আবদুস সামাদ, খন্দকার মো. ওমর ফারুক, মো. আল আমিন, এনামুল আলমসহ ২৫ জনকে।
আজ বুধবার দুপুরে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুর রহিম বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি কিশোর ও তরুণদের দল। আমি ৩৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করি, আমি কীভাবে তাঁদের নেতৃত্বে থাকি? তাঁরা আমার সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই কমিটিতে আমার নাম ব্যবহার করেছে। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। কমিটি প্রকাশের পর যখন বিষয়টি জেনেছি, তখন সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে এটার বিরুদ্ধে পোস্ট করেছি। ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দুঃসময়েও কখনো বিএনপিকে ছাড়িনি, তাহলে এখন কেন ছাড়তে যাব?’
আবদুর রহিমের দাবি, সামনে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার আলোচনা চলছে। তিনি যেন গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে না পারেন এ জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির কমিটিতে নাম দিয়ে তাঁকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেই আজীবন থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে সংগঠনের কুমিল্লা অঞ্চলে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফসা জাহান বিএনপি নেতা আবদুর রহিম ওরফে জুয়েলের এসব কথাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
আজ দুপুরে হাফসা জাহান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আবদুর রহিম ওরফে জুয়েলের বেশ কয়েকবার কথা ও আলোচনা হয়েছে। তাঁর মতামতের ভিত্তিতেই কমিটিতে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। সর্বশেষ গতকাল (মঙ্গলবার) রাতেও তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তখন বলেছেন, তিনি অসুস্থ তাই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এরপর আমরা ফেসবুক পেজ থেকে কমিটি সরিয়ে নিয়েছি। আর বিষয়টিকে যেভাবে ছড়ানো হচ্ছে, এটি তেমন বড় কোনো ঘটনা নয়। শিগগিরই নতুন করে কমিটি প্রকাশ করা হবে।’