দেবিদ্বারে বিএনপি নেতার সহযোগিতায় স্কুল কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে সভাপতি করার পাঁয়তারা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় শালঘর ইউএমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতাকে বসানোর চেষ্টা চলছে, এমন অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আউয়ালের ভাই মাসুদুর রহমানকে স্কুলের সভাপতি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এ কাজে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছেন বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন।
উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে উপেক্ষা করে এমন এক অবৈধ কমিটি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সাইদুর রহমান লিটন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদদের পূণরায় জায়গা দিতে এমন কার্যকলাপে ভুমিকা রাখছেন তিনি। একাধিক বিএনপির যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তিবর্গ থাকতেও আওয়ামিলীগ পূণর্বাসনের এমন হীন পফক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার ঝর বইছে বিএনপির কর্মীদের মাঝে। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজবিউল আহসান মুন্সির সমঝোতাকেও নাকোচ করে একাই আওয়ামিলীগের কর্মীকে সভাপতি করতে মরিয়া হয়ে আছেন লিটন।
অভিযোগকারীদের মতে, মাসুদুর রহমান অতীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ এবং বিভিন্ন হুমকির সাথে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্কুল ও মাদ্রাসার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে তিনি বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
একটি অভিযোগে বলা হয়, মাসুদুর রহমান তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হিসেবে ইসমাইল নামের এক দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে তৎকালীন অধ্যক্ষ তার প্রস্তাব সৎ সাহসের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে মাসুদুর রহমান দলের ছত্রচ্ছায়ায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সৈয়দপুর কামিল মাদ্রাসার সভাপতিও ছিলেন।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন বলেন, আমি এককভাবে কাউকে পদে বসানোর ক্ষমতা রাখি না। আমাদের এলাকায় রাজনীতি মূলত দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত। তাই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যেই ক্ষমতায় থাকুক, কমিটির নেতৃত্ব এ দুটি গোষ্ঠীর মধ্য থেকেই আসে। মাসুদুর রহমানও এ নিয়মেই মনোনীত হয়েছেন। এখানে আওয়ামিলীগ বিএনপি হিসেব করা হয় নাই।
এমইউএ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, আমি একা কারো নাম দিইনি। কমিটির নাম সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত করে জমা দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবুল হাসানাত খান বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে একটি এডহক কমিটির তালিকা দিয়েছে। আমরা সেটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। কমিটির পদবিভাগের বিষয়টি তারাই নির্ধারণ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ব্যারিস্টার রিজবিউল আহসান মুন্সি বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামিলীগের কাউকে সভাপতি করা হলে সেটি হবে খুব ই দু:খজনক। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।