এর আগে ওই পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ সরকারের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিনা অনুমতিতে বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর না করিয়ে দেশের বাইরে অবস্থান ও অনিয়ম নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারীদের পক্ষে মো. নাজমুল হাসান নাহিদ ওই কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পৌর প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু প্রশাসন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বদলি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী। ওই কর্মকর্তা স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এরপর তিনি ওই সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় পৌরসভার বিভিন্ন কেনাকাটায় অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে— মশার ওষুধ ক্রয়, লাইট ক্রয়, পৌরসভার আসবাবপত্র ক্রয়সহ কেনাকাটায় ভুয়া ভাউচারে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি। এ ছাড়া ২০২০ সালে পৌরসভার জন্য উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের বাসিন্দা নানু মিয়ার কাছ থেকে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মূল্যের ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে পৌরসভার ব্যাংক হিসাব থেকে ২৮ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৫ টাকা জমির মালেকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মো. নাজমুল হাসান নাহিদ বলেন, একজন অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত বা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ করার পর এক মাসেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এটি খুবই দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। তিনি যেখানেই বদলি হন না কেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ যে কোনো মুহুর্তে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। যুগান্তর