‘অসম্পন্ন’ হল উদ্ধোধন করল কুবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

মহিউদ্দিন মাহি, কুবি :  ১৮ মাসের প্রকল্প ৬৬ মাস পর উদ্ধোধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। তবুও বাকি থেকে গেছে নির্মাণকাজ। এর মাঝেই প্রকল্প বুঝে নিয়েছে প্রশাসন। রোববার নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা হল’ উদ্ধোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

হল উদ্বোধন হলেও আসবাবপত্র না থাকায় এখনই হলে ওঠতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। কেবল মেঝেতে থাকতে চাইলেই কেউ হলে ওঠতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান। এ ছাড়া নির্মাণকাজ চলমানের মধ্যেই হলে শিক্ষার্থী ওঠলে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কাজ শুরুর ১৮ মাসে মধ্যে প্রকল্প বুঝিয়ে দেওয়ার শর্তে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় ছাত্রী হলটির কাজ শুরু করে আবদুর রাজ্জাক (জেভিসিএ) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেসময় প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় চার দফা মেয়াদ বাড়ায় কুবি কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত এ ব্যয়ভার বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকায়।

এর মাঝে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহরের অভিযোগ এনে তা পরিবর্তনের জন্য চলতি বছরের ১৭ মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেন প্রকল্প পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. শাহাবুদ্দিন। সবশেষে ৬৫ মাস পর গত ২৯ জুন অসম্পন্ন কাজ শেষ করলে বিল প্রস্তুত করা হবে- এমন শর্তে প্রশাসন প্রকল্প বুঝে নেয় বলে জানিয়েছেন টেক এন্ড হ্যান্ডওভার কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. বিল্লাল হোসাইন। তবে প্রকল্প বুঝে নেওয়ার একমাস পর এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

কাজ শেষ হওয়ার আগেই হল উদ্ধোধনের বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতেই হল উদ্ধোধন করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে শোকের মাস শুরু হওয়ায় একটু আগেই কাজটি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা হলের ওঠার পরও নির্মাণকাজ চালিয়ে নেওয়া হলে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে কি না- এমন প্রশ্নে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, নিরাপত্তার ঘাটতি হবে না। তবে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিতে পড়তে পারে। এ বিষয়ে হল প্রশাসন ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

তবে এতসবের পরও কাটছে না নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট। নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী ও শেখ হাসিনা হলে যথাক্রমে ২০৮ ও ২৫৬ জনের থাকার ব্যবস্থা করতে পেরেছে প্রশাসন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট নারী শিক্ষার্থীর ১৭ শতাংশ মাত্র। যদিও এর মধ্যে প্রথম হলটিতে গাদাগাদি করে থাকেন ৩০৬ শিক্ষার্থী।