অসাধারণ পারফরম্যান্সে জাপান হারিয়ে দিলো জার্মানিকে 

বিশ্বকাপ ফুটবল 
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

অবিশ্বাস্য! অসাধারণ! জাপানের এই পারফরম্যান্সকে কোন শব্দে বিশেষায়িত করবেন?

৭৪তম মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে জার্মানি। এ ম্যাচে জাপান কামব্যাক করবে কে ভেবেছিল? কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ যেন চমকের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছে। আট মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল আদায় করে নিলো জাপান। দুটি গোলই করেছেন বদলি হিসেবে নামা দুই খেলোয়াড়। তাতেই ইতিহাস। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে মাঠ ছাড়লো জাপান। গোল করে জয়ের নায়ক রিতসু দুয়ানে, তাকুমা আসানো। তবে জাপানের ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডাও। ম্যাচে মোট ৮টি সেভ করেছেন তিনি। বিশ্বকাপে জাপানিজ কোনো গোলরক্ষকের পক্ষে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেভ।

৮ সেভের ৪টিই ছিল ডিবক্সের ভেতর থেকে।

গতকাল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ঠিক একইভাবে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জিতেছিল সৌদি আরব। এশিয়ান দলের বিপক্ষে দুই দিনে দুই পরাশক্তির হার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটলো এমন ঘটনা।

আর জার্মানি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে হারলো এশিয়ান দলের কাছে। গত আসরের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বাদ পড়েছিল তারা।

ইলকাই গন্ডোয়ানের গোলে প্রথমার্ধে জাপানের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল জার্মানি। তবে বদলি নামা খেলোয়াড় রিতসু দুয়ানের গোলে ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে এশিয়ান জায়ান্টরা। আর ৮৩তম মিনিটে জাপানকে এগিয়ে দেন আরেক বদলি খেলোয়াড় তাকুমা আসানো।

৩৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা গন্ডোয়ান। যোগ করা সময়ে (৪০+৫ মিনিট) অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় কাই হাভার্টজের গোল। প্রথমার্ধে মোট ১৪টি শট নিয়েছে জার্মানি। চারটিই ঠেকিয়ে দিয়েছেন জাপান গোলরক্ষক শুইচি গোন্ডা। জাপান শট নিতে পারেনি একটিও। তবে শুরুতে সবচেয়ে ভালো সুযোগটা কিন্তু তারাই পেয়েছিল।
পঞ্চম মিনিটে ডিবক্স থেকে জার্মানির জালে বল পাঠান জাপানের দাইজেন মায়েদা। কিন্তু শট নেওয়ার সময় অফসাইড পজিশনে থাকায় তার গোলটি বাতিল হয়ে যায়। যে পজিশনে ছিলেন মায়েদা, তাতে ডিবক্সে একটু পরে ঢুকলেও সতীর্থের পাসটা পেতেন তিনি।

তাতে কী, পরে রিতসু দুয়ানে-তাকুমা আসানোরা যা করলেন, জাপানের ফুটবল ইতিহাসেরই সেরা জয়টা উপহার দিলেন তারা। বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ী কোনো দলের বিপক্ষে এটি জাপানের প্রথম জয়। এর আগে ২০০২ সালে রাশিয়া ও তিউনিশিয়া, ২০১০ সালে ক্যামেরুন ও ডেনমার্ক এবং গত আসরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতেছিল দলটি।