মোস্তাফিজুর রহমান।।
নির্বাচনী আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপন ভাতিজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু তৈয়ব অপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার চালনো অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা -৫ আসনের (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ জাহেরের বিরুদ্ধে।
১৭ মে শুক্রবার বিকেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী তার নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপন ভাতিজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবু তৈয়ব অপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার চালাচ্ছে তার চাচা বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার আসনের এমপি এম এ জাহের সাহেব। যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় কৌশলে নির্বাচনী সভা করছে। নেতাকর্মীদেরকে ফোন করে ভাতিজার পক্ষে ভোট করার জন্য আদেশ দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কিংবা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং নির্বাচন বিতর্কিত হবে বলে আমি মনে করি।
স্থানীয়রা জানান, এমপি জাহের সাহেব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভাতিজার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৫/৬ জায়গায় তিনি প্রোগ্রাম করেছেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি । অভিযোগ পেয়েই সাথে সাথে আমি সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে আমি প্রার্থী কিংবা এমপি সাহেব কাউকে পাইনি।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বলেন, আমার কাছে এ রকম কোন অভিযোগ আসে নাই। এটা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেটকে জিজ্ঞেসা করেন।
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ জাহের মুঠোফোনে জানান, আমি যদি প্রচারণা করে থাকি তাহলে তাকে প্রমান করতে বলেন। আমি একজন সংসদ সদস্য, আমি জানি এমপিরা প্রচারণা করতে পারবে না। অপি আমার আপন ভাতিজা । তাই সবাই মনে করে আমি আমার ভাতিজার জন্য ভোট চাচ্ছি। এ রকম কোন প্রচার প্রচরণায় আমি ছিলাম না।
এদিকে, ব্রাহ্মনপাড়ার প্রায় অর্ধশতাধিক বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,এমপি জাহের সাহেব বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আড়ালে ভাতিজা অপির পক্ষে ঘোড়া প্রতীকে ভোট চাচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পস্ট লঙ্ঘন। সুতরাং প্রশাসন যদি এখনি এমপি মহোদয়কে নিভৃত্ত না করেন তাহলে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।