এক বিবৃতিতে মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি বলেন,‘ইরান গুরুতর কাজ করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আজ রাতেই ইরান এ কর্মকাণ্ডের পরিণতি ভোগতে হবে।’
ইরানের হামলার প্রভাব খুব কম ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, জনসাধারণের দায়িত্বশীল আচরণ, আমাদের প্রতিরক্ষা সক্রিয়করণ এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য অংশীদারদের পদক্ষেপের কারণে তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা এভাবে কাজ চালিয়ে যাব, আক্রমণাত্মক এবং আত্মরক্ষামূলকভাবে।
মঙ্গলবার রাতজুড়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০ টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।তবে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়নি। এ হামলায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল সরকার।
ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বলছে, সম্প্রতি হামাস, হেজবুল্লাহ এবং ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার জবাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে । ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।
এদিকে ইরানের হামলার মধ্যেও লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।