আতশবাজি-ফানুস বিক্রি বা ওড়ানো, ধরা পড়লেই ব্যবস্থা

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতি বছরের এবারও কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি কিংবা ওড়ানো/ফোটানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেই ব্যবস্থা নেবে তারা।

এবার নিরাপদ পরিবেশে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ফানুস ওড়ানো, আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও মশাল মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের কয়েকদিন আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে ডিএমপি। এ রাতে সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাও এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান একটি আদেশ দেন। সেই আদেশে বলা হয়েছে- ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে অংশ নেবে। এ আনন্দ উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো, মশাল মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে রাজধানীর যেসব এলাকায় ফানুস বিক্রি হয় সেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। স্থানীয় ফানুস বিক্রেতাদের গতবারের অগ্নিদুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফানুস বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন কোনোভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ফানুস বিক্রি ও ওড়ানো না হয়। কেউ যদি ফানুস ওড়ায় বা আতশবাজি ফোটায় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লালবাগ বিভাগের চকবাজার জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শফিকুর রহমান বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা ও আদেশে থার্টি ফার্স্ট নাইট এবং নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফানুস-আতশবাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফানুস ওড়ানো অথবা আতশবাজি ফোটানো অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে কেউ যদি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কিংবা আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস কিংবা আতশবাজি না ফুটিয়ে সামাজিকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। অনলাইন অথবা সরাসরি যারাই আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চলমান। আগামীতেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। কয়েকজনকে হাতেনাতে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, আতশবাজি, পটকা অথবা ফানুস ওড়ানো, বিক্রির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। নগরবাসীও থার্টি ফার্স্ট নাইটে এসব আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকবেন।