কেমন আছেন?
খুব ভালো।
কেমন আছেন?
খুব ভালো।
‘ব্লাক মানি’র ফার্স্টলুক টিজার প্রকাশের পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
অ-নে-ক ভালো। সিরিজটি করার সময় বুঝতে পারিনি এতটা সাড়া পাব। এই যে বরিশালে এসেছি, এখানে কয়েকজন জিজ্ঞেস করেছে, কবে সিরিজটি মুক্তি পাবে। তাদের বলেছি, প্ল্যাটফরম বলতে পারবে। তবে যতদূর জানি, ২ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা।
রাফীর সঙ্গে আমার মাঝেমধ্যে কথা হতো। হঠাৎ একদিন ফোন করলেন, বললেন, ‘ভাইয়া, আপনি কি বাসায় আছেন? থাকলে একটু দেখা করতে আসতাম।’ আমি ভাবলাম, এমনিতে গল্প করতে আসবে হয়তো। আসতে বললাম। তিনি সঙ্গে বঙ্গ প্ল্যাটফরমের মুশফিকুর রহমান মঞ্জু ভাইকে নিয়ে এলেন। এরপর সিরিজটির গল্প বললেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মুশফিক ভাই আমাদের সিনেমার মানুষ, রাফীও কাছের। তাই সিরিজটি করতে রাজি হয়ে গেলাম। আশা করছি, পুরো কনটেন্ট দেখলে সবার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। একি দেখলাম! এমন একটা ফিল আসবে।
নতুন কোনো সিনেমা করছেন?
নিজে একটা ছবি তৈরির পরিকল্পনা করেছি। চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি শুটিং শুরু করব। এর বাইরেও অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। সেগুলোর গল্প-চিত্রনাট্য ভালো লাগে না। সারা দেশে আমার মার্শাল আর্টের স্কুল আছে। সেসব জায়গায় গেলে দেখি মানুষ এখনো আমাকে আগের মতো ভালোবাসে। তারা আমার ছবি দেখতে চায়। কিন্তু যেনতেন ছবি করলে তো সুনাম নষ্ট হবে। তাই অপেক্ষায় আছি। এই প্রজন্মের কয়েকজন নির্মাতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দেখি, তাঁদের সঙ্গে ব্যাটে-বলে মিললে ছবি হাতে নেব।
একটা সময় মাসের প্রতিটা দিনই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের মধ্যেই থাকতেন। মিস করেন সেই দিনগুলো?
অবশ্যই মিস করি। সেদিন আক্ষেপ করে একজনকে বলছিলাম, রজনীকান্ত ৭৭ বছর বয়সে এসেও ‘জেলার’-এর মতো হিট ছবি দিচ্ছেন। প্রসেনজিৎ দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন। অমিতাভ বচ্চনও বসে নেই। অথচ আমাদের দেশে ইলিয়াস কাঞ্চন, আমি বা ওমর সানী, আমিন খানদের হাতে ছবি নেই। কেন এমন হবে? গল্পকাররা কি আমাদের ওপর বেজ করে গল্প লিখতে পারেন না? নির্মাতারা আমাদের নিয়ে একটা ঝুঁকি নিয়েই দেখুন না! যদি ফেল করি তখন সরে যাব।
ওটিটিতে তো পা রাখছেন। নিয়মিত কাজ করবেন এই মাধ্যমে?
কেন করব না! ‘ব্লাক মানি’র মতো কোনো সিরিজ বা ওয়েব ছবি পেলে লুফে নেব। এখন জেনারেশন চেঞ্জ হয়েছে। ঘরে ঘরে ৫০ থেকে ৭৫ ইঞ্চি টেলিভিশন। সাউন্ড-পিকচার কোয়ালিটি হলের চেয়েও ভালো। তা ছাড়া নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন এমনকি আমাদের দেশে বঙ্গ, চরকির মতো প্ল্যাটফরম আছে। এসব প্ল্যাটফরমে নতুন কনটেন্ট মুক্তি পাচ্ছে নিয়মিত। এমনিতেই তো হলে যাওয়ার প্রবণতা আগের চেয়ে কমেছে। তাই ওয়েবে ভালো কিছু করার সুযোগ পেলে না করাটা হবে বোকামি।
এখন তো বাংলাদেশের ছবি আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে। বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?
আমরা কল্পনাও করিনি, এভাবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বাণিজ্যিকভাবে সারা বিশ্বে মুক্তি পাবে। আমাদের সময় চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি যেত। সেটা নিয়েই খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতাম আমরা। আর এখন ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ডলার-পাউন্ড আসছে। খুবই ভালো দিক। তবে আমি অনুরোধ করব, সব কিছু প্ল্যানিং করে তারপর সবাইকে আগাতে হবে। এই যে একটা বাজার তৈরি হয়েছে, যা-তা ছবি মুক্তি দিয়ে যেন সেই বাজার নষ্ট না করা হয়। আমাদের তো স্বভাব, কিছু একটা পেলেই হয়েছে, সবাই গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে একটা প্রিভিউ কমিটি করা যেতে পারে। যারা ছবির মেরিট যাচাই করে তারপর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির অনুমতি দেবে। তাহলে বাজারটা আরো শক্ত হবে। ভারতের দিকে দেখেন, ওরা কিন্তু সব ছবিই আন্তর্জাতিক মার্কেটে মুক্তি দেয় না। ওরা শুরু করেছিল শাহরুখ খান, রজনীকান্তদের দিয়ে। আমরাও সেটা ফলো করি। শাকিব, চঞ্চলরা এরই মধ্যে বাইরে একটা বাজার তৈরি করেছে। সেটা চলতে থাকুক। তারপর নয় অন্যদেরটা ভাবা যাবে।