সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘‘আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি না করে আমরা ‘উই ইউনাইট আওয়ার সেলফ’। দেশ জাতি যেন একসঙ্গে থাকতে পারি সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে আমরা যেন এক থাকতে পারি। তাহলে এই দেশটা উন্নত হবে। এই দেশটা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না হলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়তে যাবো। বিশ্বাস করেন ‘উই ডোন্ট ওয়ান্ট ডু হেড’ ওদিকে আমরা যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন আমি সতর্ক করিনি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি কাটাকাটি করেন, তাহলে এই দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।’’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমি আজকে বলে দিলাম। না হলে আপনারা বলবেন আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। এই দেশ সুখে শান্তিতে থাকতে চায়। আমরা চাই না হানাহানি কাটাকাটি মারামারি। সেই উদ্দেশ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ করেন না। একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানে প্রতি বিদ্বেষ কারও কারও। কী কারণে আজ পর্যন্ত আমি এটা আমি খুঁজে পাইনি। আমরা হচ্ছে একমাত্র ফৌজ। যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্মে।’
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমাদেরকে সাহায্য করেন। আমাদেরকে আক্রমণ কইরেন না। আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন। আমাদেরকে উপদেশ দেন। কোনো একটা সমস্যা হয়ে গেলে আমি জেনারেল নুরুদ্দিন স্যারের শরণাপন্ন হই এবং উনি আমাকে উপদেশ দেন। সিনিয়র জেনারেলরা আমাকে উপদেশ দেন। আমি সবার কাছে শরনাপন্ন হই। আমাদের প্রতি আক্রমণ করেন না। উপদেশ দেন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করবো। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’