এসপির সহায়তায় মাহমুদুলকে খুঁজে পেল পরিবার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ।।
প্রকাশ: ১ বছর আগে

চৌদ্দ বছর বয়সী মাহমুদুল হাসান। পড়াশুনা করে লক্ষ্মীপুর শহরের আল-মুঈন ইসলামী একাডেমি মাদরাসায়। ওই মাদরাসার এক শিক্ষকের সঙ্গে অভিমান করে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় হাফেজ এই শিক্ষার্থী।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফের কাছে ছুটে আসেন। এর আগে গত রোববার (৩০ অক্টোবর) ওই শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থী হাফেজ মাহমুদুল হাসান আল-মুঈন ইসলামী একাডেমি মাদরাসার একজন ছাত্র। ওই মাদরাসার একজন শিক্ষকের সঙ্গে অভিমান করে কাউকে কিছু না বলে রোববার সে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে ছুটে যান মাদরাসার দায়িত্বশীলরা। এ সময় শিক্ষার্থীকে খুঁজে পেতে সহযোগিতা ও নিজের দায়িত্ববোধের কথা তুলে ধরেন এসপি।

ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও শিশুর অভিভাবকের কাছে তুলে দেন এসপি মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের তথ্যমতে, নিখোঁজ শিশুটিকে বাংলাদেশ পুলিশের ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে ঢাকার কাওরান বাজার এলাকা হতে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে পুলিশের এ ধরনের মানবিক কাজ ও দ্রুত সহযোগিতা পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শিশুটির পরিবার ও স্বজনরা।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, তার ছেলে অভিমান করে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে খোঁজ খবর না পেয়ে থানায় ডায়েরি করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে পুলিশ আমার ছেলেকে ফিরে এনেছে। এ সময় তিনি সরকার ও পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানান।