করলা-উস্তার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কুমিল্লার কৃষকরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলায় এবার করলা ও উস্তার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষকরা। শনিবার কৃষকদের সাথে কথা বললে তাদের হতাশার কথা শোনা যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান,২০২০-২১ সালে দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে হাট-বাজারে সাধারণ মানুষ তেমন একটা ছিলো না। আবার করোনার মহামারি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ি বন্ধ থাকায় পাইকারি আড়ৎদারদের হাট বসলেও ক্রেতা ও পাইকার না থাকায় খরচের তুলনায় স্বল্প মূল্যে অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিতে করলা ও উইস্তা কৃষকদের বিক্রি করতে হয়েছে বিদায় কৃষকেরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারে করোনা ভাইরাসের প্রভাব না থাকায় কৃষকেরা মনে করেছিলেন গত দু’বছরের লোকসানের টাকা পুষিয়ে এবার কিছুটা লাভ করবে। জমিতে এবার ফলন ভালো হলেও তুলনামূলকভাবে দাম না থাকায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।
এছাড়াও গত দু বছরে তুলনামূলক ভাবে কৃষিপূন্য ও জমি আবাদে খরচ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই তুলনায় তেমন একটা দাম না থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গত দু’দিন উপজেলার বৃহৎ পাইকারি আড়ৎ দাউদকান্দির পুরাতন ফেরিঘাট ও নতুন ফেরিঘাটে দেখা গেছে উইস্তা বিভিন্ন জাতের পাইকারী বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আলী মিয়া বলেন, আমার দশ বিঘা জমিতে তিতা করলা চাষ করেছি। এবার গত দু’বছরের তুলনায় জমি বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ গুণ খরচ হয়েছে সেই তুলনায় উইস্তা ও করলার মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা হলে খরচ পুষিয়ে মুনাফা করা যেতো। গোলাপ চরের সামছুদ্দিন বলেছেন আমি বর্গা নিয়ে পাঁচ বিঘা জমিতে তিতা উইস্তা ও করলা চাষ করেছি, ফলন ভালো হলেও তুলনামূলকভাবে দাম না পাওয়ায় খরচের সমান সমান হতে পারে। আরো কয়েকজন কৃষক জানান, পাইকারি বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দামে আমরা উইস্তা ও করলা বিক্রয় করে থাকি। পরে ছোট ছোট দোকানিরা তাদের কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিভিন্ন জাতের উইস্তা ও করলা ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রয় করে থাকি। আরো কয়েকজন কৃষক জানান, তারা কৃষি কাজে আগ্রহ থাকলে ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা তেমন একটা না থাকায় তারা সময়মতো কৃষি কাজ করতে পারছেন না। দাউদকান্দি ও মেঘনা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, দুটি উপজেলায় প্রায় ৫শত হেক্টর জমিতে কৃষকেরা উইস্তা ও করলা চাষ করেছে। যা বর্তমান বাজার মূল্যে ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকায় বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ বিপুল হোসেন বলেন, প্রতিটা ইউনিয়নে আমাদের ব্লক সুপারভাইজার রয়েছে কৃষকেরা চাইলে যে কোনো পরামর্শ তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন, আমরা সরকারি ভাবে দরিদ্র কৃষকদের কৃষি উপকরণ দিয়ে থাকি।